New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/BJP-MLA-Daughter.jpg)
কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভলির মেয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ধরা পড়ার পর কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে অভিযুক্ত হলেন।
কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভলির মেয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ধরা পড়ার পর কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে অভিযুক্ত হলেন।
সিনেমা-নাটকে এমন দৃশ্য দেখা যায়। নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালিয়ে ধরা পড়ার পর অভিযুক্ত পুলিশকে বলছেন, 'আমার বাবা কে জানো?' ভয়ে অনেক সময় পুলিশ ছেড়েও দেয় অভিযুক্তকে।
বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটল বেঙ্গালুরুতে। কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভলির মেয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ধরা পড়ার পর কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে অভিযুক্ত হলেন। ঘটনা ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাবার নাম বলে পুলিশকে ভয় দেখানোরও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গিয়েঠে, রেনুকা লিম্বাভলি এবং তাঁর এক বন্ধু গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাফিক আইন ভাঙেন। দ্রুতগতির বিএমডব্লিউ আটকান ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। চালকের আসনে তখন বিধায়ক-কন্যা। গাড়ি থেকে নেমে এসেই চেঁচিয়ে তিনি বলেন, "আমি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভলির মেয়ে, গাড়ি ছেড়ে দিন।"
আরও পড়ুন মর্মান্তিক! অ্যাম্বুল্যান্স দিল না হাসপাতাল, মৃত শিশুর দেহ কোলে নিয়ে গ্রামে ফিরলেন বাবা
সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। রেনুকাকে বলতে শোনা যায়, "এসিপির গাড়ি ওভারটেক করেছি বলে আমার জরিমানা করা হচ্ছে। এটা বিধায়কের গাড়ি। আপনাদের জানার জন্য বলছি, এটা বিধায়কের গাড়ি। আমি বেপরোয়া গাড়ি চালাইনি।"
"For your information, this is an MLA vehicle": BJP MLA Aravind Limbavali’s daughter ‘misbehaves’ with traffic cops for imposing fine
Read here: https://t.co/znGgj9ApfQ#Karnataka #Bengaluru pic.twitter.com/jMk5EMDmKN— Express Bengaluru (@IEBengaluru) June 10, 2022
সেই সময় পাল্টা ট্রাফিক পুলিশ জিজ্ঞেস করেন, "কে বিধায়ক?", রেনুকা বলেন, "আমার বাবা, অরবিন্দ লিম্বাভলিকে চেনেন, আমি ওঁর মেয়ে। ব্যস!" পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগেও একবার গাড়িটি নিয়ম ভাঙে, তাই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন লোকাল ট্রেনে KK-এর গানে ঝড় তুললেন শিল্পী, ভিডিও ভাইরাল মুহূর্তেই
পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কির পর রেনুকার বিরুদ্ধে এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করছিলেন। সাংবাদিকের দিকে তেড়ে যান আর বলেন, "তোমার সাহস তো কম নয়, কোথাকার কে হে তুমি!" পুলিশকে তিনি বলেন, মিডিয়ার লোককে সরিয়ে দিতে।
এদিকে, ভিডিও ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে কর্ণাটকের শাসক দল। বিধায়ক নিজেও মেয়ের কাণ্ডের জন্য লজ্জিত হয়ে তাঁর তরফ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, "মেয়ের দুর্ব্যবহারের জন্য যদি কোনও সাংবাদিক আঘাত পেয়ে থাকেন আমি ক্ষমা চাইছি।"