দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে (AIIMS) 'ব্রেন ডেড' বলে ঘোষণা করা প্রাক্তন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) জওয়ানের অঙ্গদানে বাঁচল তিনটি জীবন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে ওই জওয়ানের নাম রাকেশ কুমার (৫২)। প্রাক্তন ওই জওয়ানের একটি কিডনি AIIMS-দিল্লিতে ভর্তি এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, অন্য একটি কিডনি সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারাল (আরআর) হাসপাতালে ভর্তি অপর এক রোগীর শরীরে রাকেশ কুমারের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়।
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের বাসিন্দা রাকেশ কুমার ৩রা অক্টোবর তাঁর বাড়িতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মেরামতের সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তারপরে তাকে দ্রুত স্থানীয় 'ট্রমা সেন্টারে' নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে তাকে দিল্লির 'এইমস'-এ রেফার করা হয়। রাকেশ কুমারকে ৪ ঠা অক্টোবর সকালে দিল্লির AIIMS ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয় এবং অস্ত্রোপচারও করা হয়। চিকিৎসক জানান, গত ৬ অক্টোবর তাকে ব্রেন ডেড বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: < ভিড় বাসে চিঁড়েচ্যাপটা, আরামের ঘুম ‘চারপেয়ে’র! মহানুভবতাকে কুর্নিশ নেটপাড়ার >
দিল্লি AIIMS-এর এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, 'শুক্রবার সেনা বাহিনীর আরআর হাসপাতালের এক রোগীর শরীরে রাকেশের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তার একটি কিডনি সফদরজং হাসপাতালের একজন রোগীর মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল, যখন তার অন্য কিডনিটি AIIMS-এ এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তার দুটি কর্নিয়া আগামী সপ্তাহে প্রতিস্থাপনের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে।"
অবসর প্রাপ্ত ওই সেনা জওয়ান রাকেশ কুমারের ভাগ্নে, যিনি AIIMS ট্রমা সেন্টারের জরুরি মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসক, তিনি অঙ্গদানের জন্য পরিবারকে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে AIIMS-সূত্রে জানানো হয়েছে। নিউরোসার্জারির অধ্যাপক ডঃ দীপক গুপ্ত, বলেন, ' ভারতে প্রতি তিন মিনিটে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তিনি বলেন, প্রতি বছর মৃত্যুর এই সংখ্যা দেড় লাখ হলেও প্রতি বছর মাত্র ৭০০ অঙ্গ দান করা হয়। গুপ্তা আরও বলেন, 'অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ'।