জীবনের বিশেষ কোন দিনে নিজের আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সকলকে নিয়ে একসঙ্গে গেট টু গেদার পার্টি না হলে যেন সেই দিনটাই বৃথা হয়ে যায়। তেমনই এক বিশেষ দিন উপলক্ষে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলেন এক দম্পতি। পার্টি উপলক্ষে ছিল খানাপিনার এলাহি আয়োজন। স্টার্টার থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, চাইনিজ থেকে বাদ যায়নি কিছুই।
এদিকে পার্টি উপলক্ষে নিমন্ত্রণ ছিল বিশেষ বন্ধু এবং তার প্রেমিকার। হইহল্লা, মজা করার পর খাওয়াদাওয়াও হয় দেদার। এর পার যা ঘটল তার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না দম্পতি। পার্টি শেষে দম্পতি দেখেন তাদের ঘর থেকে খোয়া গিয়েছে হিরে এবং সোনার দুটি নেকলেস। মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
যা দেখে রীতিমত চোখ কপালে ওই দম্পতির। তড়িঘড়ি খোঁজ শুরু হলেও সেগুলির কোন সন্ধান না মেলায় হতাশ হয়ে পড়েন ওই দম্পতি। কী করবেন ভেবে না পেয়ে অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হন তারা।
আরও পড়ুন: আবাসনের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে ধুন্ধুমার, কর্তৃপক্ষকে তুলোধনা নেটজনতার
সব শুনে বেজায় ফ্যাসাদে পড়লেন দুঁদে পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু অভিযোগ যখন গিয়েছে সুরাহা তো করতেই হবে! বেশ কয়েক জনকে পরের দিন থানায় ডেকে পাঠানো হয়। যার মধ্যে ছিলেন দম্পতির ওই বিশেষ বন্ধু এবং তার প্রেমিকা। সকলকে জেরা করেও কোন সমাধান সূত্র পান নি দুঁদে ওই পুলিশ আধিকারিক। তাহলে গেল কোথায়?
এরপর শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। জেরার মুখে ভেঙ্গে পড়েন বিশেষ ওই বন্ধু এবং তার প্রেমিকা। জানা গিয়েছে পার্টিতে খাবারের সঙ্গে গিলে নিয়েছেন সোনা এবং ডায়মন্ডের নেকলেসও। এমন ঘটনায় তাজ্জব হয়ে যান পুলিশ কর্মীরা।
তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে স্ক্যান করতেই দেখা যায়, পেটের এক কোনে রয়েছে নেকলেস এবং সোনার পেনডেন্ট। অপারেশনের পর উদ্ধার করা সেগুলি। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিক বলেন, এভাবে যে এই যুগল ভালোমন্দ খাবারের সঙ্গে হীরের চেন এবং নেকলেস গলাধঃকরণ করবেন তা ভাবাই যায়নি;’। আপাতত শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে ওই যুগলের।