করোনা-জয়ী হয়ে ফিরে এসেছিলেন। মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই চালিয়ে জিতেছিলেন। তবে সুস্থ হওয়ার পর চ্যালেঞ্জ কাকে বলে টের পেয়েছিলেন চেন্নাইয়ের রাধে আম্মা। ৫০ বছরের রাধে আম্মা হঠাৎই অকূল পাথারে পড়েছিলেন চাকরি খুইয়ে। তারপরেই ত্রাতা পুলিশকর্মী।
চেন্নাইয়ের কেকে নগর কমপ্লেক্সে গৃহকর্মে সহায়তা করতেন তিনি। টানা দশ বছর সেই কাজ করছিলেন তিনি। সেই কাজ করেই নিজের ভরণপোষণের খরচ উঠে যেত তাঁর। কোনো আত্মীয় স্বজন ছিল না। তবে এর মধ্যেই কালঘাতী হয়ে হানা দেয় করোনা। সেই লড়াইয়ে জয়ী হন প্রবীণা এই মহিলা।
আরও পড়ুন
মরার ভান করে মৃত্যু এড়ালেন মহিলা, দেখুন বাইসনের শিহরণ জাগানো ভিডিও
তবে ভাইরাস জয় করলেও তাকে কাজে পুনরায় বহাল করতে আপত্তি ছিল মালকিনের। রোজগারের একমাত্র সুযোগ হারাতে বসে প্রবল সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতেই এগিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় টি নগর থানার ডিসিপি হরি কিরণের কাছে। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলছিলেন, "আডার থানার ডিসিপি ভি বিক্রমণের কাছে এক ইনফর্মার খবর দেয় রাধে আম্মা করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর একমাস কাজে যেতেই পারেননি। এরপর সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিতে চাইলে তাকে কাজে পুনর্বহাল করতে রাজি হননি তাঁর মালকিন। তাঁদের আশংকা ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারেন তিনি।"
এরপর চেন্নাই পুলিশ তাঁকে আর্থিকভাবে সাহায্যের কথা বললেও তিনি এই সাহায্যে রাজি হননি। বরং পরিচারিকা হিসাবে কাজে যোগ দিতে চেয়েছেন। "রাধে আম্মা একা থাকেন, এবং অন্যকোন উপার্জনের উৎসও নেই। যেহেতু কেকে নগর আমার নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই আমি একদিন ওঁকে দেখতে গিয়ে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দি-ই।" জানাচ্ছিলেন ডিসিপি।
Radha Amma (a sanitary worker) treated every home as her own but flat association members were hesitant to get her back after she beat COVID.
Hari Kiran IPS,DCP T.Nagar convinced the members to provide employment to her.#GoodJobCop@copmahesh1994 @chennaipolice_ @CMOTamilNadu https://t.co/TZo8Cmpazv
— IPS Association (@IPS_Association) July 22, 2020
আম্মার সঙ্গে কথাবার্তা বলেই সেই কমপ্লেক্সে যান পুলিশ সেই আধিকারিক। সেখানে গিয়ে কাজে পুনর্বহাল করতে বলেন তিনি। তাঁরা যদিও জানান, আম্মার পরিবর্তে অন্য একজনকে কাজে ইতিমধ্যেই নিয়োগ করে ফেলেছে তাঁরা।
হরিকিরণ বলছিলেন, "তবে ওঁরা পতিশ্রুতি দিয়েছে কমপ্লেক্সের অন্য কোনো কাজল শীঘ্রই নেওয়া হবে আম্মাকে। এই খবর আম্মার কাছে পৌঁছে দিতেই খুশি হন তিনি।"
দুঃস্থ আম্মাকে এমন সাহায্য করেই পুলিশ অফিসার হরিকিরণ আপাতত দেশের শিরোনামে। সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। ইন্ডিয়ান পুলিশ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হরিকিরণের এই কীর্তি ফলাও করে অফিসিয়াল টুইটার একাউন্টে লেখা হয়েছে।