প্রিয় গোপালকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে হাজির পুরোহিত। তাঁর আবদার শুনেই চোখ কপালে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের। পুরোহিতের দাবি, গোপালের হাত ভেঙেছে। তাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিতে হবে। এই বলতে বলতে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন তিনি। মহা বিড়ম্বনায় পড়ে পুরোহিতের আবেদন রাখলেন ডাক্তাররা।
মজার ঘটনা ঘটেছে আগ্রায়। জেলা হাসপাতালে কয়েক দিন আগে আসেন ওই পুরোহিত। তিনি জানান, স্নান করানোর সময় নাকি লাড্ডু গোপালের হাত ভেঙে যায়। কাঁদতে কাঁদতে তিনি হাজির হন হাসপাতালে। বাধ্য হয়েছে ডাক্তাররা গোপালের হাতে ব্যান্ডেজ করে দেন এবং শ্রী কৃষ্ণের নামে একটি রেজিস্ট্রেশন করান।
হাত ব্যান্ডেজ করার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পুরোহিত। সেই ভিডিও রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালে গোপালকে নিয়ে আসেন পুরোহিত লেখ সিং। তিনি ৩৫ বছর ধরে অর্জুন নগর পাঠওয়াড়ি মন্দিরে পুজো করছেন। সেদিন সকালে স্নান করানোর সময় ভুলবশত হাত ভেঙে যায় গোপালের।
পুরোহিত বলেন, “আমি সকালে পুজোর আগে গোপালকে স্নান করাচ্ছিলাম। সেইসময় হাত ফস্কে পড়ে যায় গোপাল আর তার হাত ভেঙে যায়। আমি ঠাকুরের সঙ্গে বহুদিন ধরে যুক্ত। আমার মন মানেনি তাই হাসপাতালে আসি।”
আরও পড়ুন উত্তাল নদীতে প্রাণ হাতে আটকে ১০ জন, ত্রাতার ভূমিকায় বায়ুসেনার কপ্টার, দেখুন ভিডিও
তাঁর অভিযোগ, প্রথমে হাসপাতালের কেউ তাঁর কথা শোনেনি। তখন কান্না পাচ্ছিল। গোপালের জন্য বুক ফেটে যাচ্ছিল। পুরোহিতের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালের সুপার ডা. অশোক কুমার আগরওয়াল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, “আমার কাছে খবর আসে একজন পুরোহিত গোপালের মূর্তি নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি গোপালের চিকিৎসার জন্য কান্নাকাটি করছেন।”
সুপার আরও জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে শ্রী কৃষ্ণের নামে রেজিস্ট্রেশন করে গোপালের ভাঙা হাত ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। যাতে পুরোহিত আশ্বস্ত হন। তবে পুরোহিতের কাণ্ড রীতিমতো ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। অনেকেই ঠাট্টা-মশকরা করেছেন এই নিয়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন