Advertisment

'মুসলিম ডেলিভারি বয় পাঠাবেন না’! সুইগিকে ‘আজব আবদার’ গ্রাহকের, প্রতিবাদের ঝড় দেশ জুড়ে

প্রায় সকলেই প্রতিবাদের ভাষায় লিখেছেন, খাবারের কোন জাত হয় না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Swiggy customer says no Muslim delivery person, Hyderabad Swiggy news, Hyderabad Swiggy customer, Hyderabad, Swiggy customer

সুইগিকে ‘আজব আবদার’ গ্রাহকের, প্রতিবাদের ঝড় দেশ জুড়ে

মুসলমান ডেলিভারি বয় চাইনা, গ্রাহকের আজব আবদার। আর তা ভাইরাল হতেই সরগরম নেটদুনিয়া। কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী  সুদীপা অনপাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার ডেলিভারি বয়দের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এবার সামনে এল গ্রাহকের এক আজব মেসেজ। তাতে লেখা ‘মুসলমান ডেলিভারি বয় যেন খাবার ডেলিভারি না করে’।

Advertisment

হায়দরাবাদে ফুড-অ্যাপ সুইগিকে লেখা একটা মেসেজ তোলপাড় ফেলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।  এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামনে এসেছে, নানা প্রশ্ন উঠেছে। এখানে একজন গ্রাহক মুসলিম ব্যক্তির হাত থেকে খাবার না পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে সুইগিকে অনুরোধ করেছেন। গ্রাহকের অনুরোধ তাদের অর্ডার শুধুমাত্র হিন্দু ডেলিভারি বয়কে দিয়েই যেন পাঠানো হয়।  গ্রাহকের অনুরোধের একটি স্ক্রিনশট রীতিমত ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ জন এর তীব্র  বিরোধিতা করছে। প্রায় সকলেই প্রতিবাদের ভাষায় লিখেছেন “খাবারের কোন জাত হয় না”।

আসলে, এই পুরো ঘটনাটি ঘটে ২৯ আগস্ট বিকেলে। একজন গ্রাহক হায়দ্রাবাদের মহাদেবপুরীতে তার বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে একটি দোকান থেকে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন সুইগি অ্যাপের মাধ্যমে। আর সেখানে তিনি একটি মেসেজ লিখেছেন, - ‘মুসলিম ডেলিভারি পার্সন চাই না। এই নিয়ে লোকসভার সাংসদ কার্তি চিদাম্বরমও সরব হয়েছেন।

স্ক্রিনশটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। তিনি সুইগিকে এই ধরনের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, “যারা খাবারে জাত দেখেন তাদের ডেলিভারি অবিলম্বে বয়কট করা উচিৎ”।  সুইগিকে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন- ধর্ম একে অপরের সঙ্গে বিভেদ শেখায় না। তবে এ বিষয়ে সুইগির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: < রিষড়ার ফেলু মোদকের মিষ্টি গেল শচীনের বাড়িতে, তা দিয়েই গণেশ পুজো ক্রিকেট ঈশ্বরের >

এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে

ফুড অ্যাপে এভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৯ সালে, একজন গ্রাহক Zomato থেকে খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন, কিন্তু ডেলিভারি বয় খাবার নিয়ে আসলে, গ্রাহক তার ধর্ম জানতে চান।  ডেলিভারি বয় যখন জানায় যে সে মুসলিম, তখন সেই গ্রাহক খাবার নিতে অস্বীকার করে।

গ্রাহকের এই আচরণের পরে, Zomato সেই গ্রাহকের সমস্ত অর্ডার নিতে অস্বীকার করে। জোমাটোর এই সিদ্ধান্তের জন্য অনলাইনে প্রচুর চর্চাও হয়।। রাইডার পরিবর্তনের জন্য গ্রাহকের অনুরোধের জবাবে, কোম্পানি টুইট করেছিল – ‘খাবারের কোনও ধর্ম নেই’!  

Hydrabad swiggy delivery boy viral
Advertisment