রূপে মজে গুরুদেব! ভক্তের স্ত্রী’কে নিয়েই পগার পার

গুরুর সঙ্গে স্ত্রী’র অবৈধ সম্পর্ক! তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি স্বামী। ভক্তের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী’কে নিয়ে পালালেন গুরু! এমন ঘটনায় ঘোর বিপাকে পড়েছেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহে। গুরুর প্রেমে পড়ে তিন সন্তান, স্বামীকে যে এভাবে ছেড়ে চলে যাবে তা ভাবতেই পারেননি স্বামী।

জানা গিয়েছে টিকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের সঙ্গেই দিন কয়েক আগেই পরিচয় হয় গুরু ফকির ফজলুল হক তালুকদারের। সেই থেকেই ভক্তের বাড়িতেই আশ্রয় নেন গুরু। গুরু ভক্ত মিলে দুবেলাই নানান ধার্মিক আলোচনা চলত, ভাগ্য ফেরাতে বেশ কিছু দাওয়াইও দেন শফিকুলকে।

মাঝে মধ্যে শফিকুল বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী রাবিয়া গুরুদেবের সেবা করতেন। সেবা থেকে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা। মাঝে মধ্যে নিজের হাতে গুরুদেবকে ভাল মন্দ রান্না করেও খাওয়াতেন রাবিয়া। খবর অনুসারে জানা গিয়েছে গত মাসের শেষে বাপের বাড়ি যাবেন বলে গুরুকে নিয়েই বাড়ি থেকে বেরোন রাবিয়া। বাপের বাড়ি তো দূর। কোথাও আর গুরু এবং সঙ্গে থাকা স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে মাথায় হাত শফিকুলের। তিন সন্তানকে নিয়ে কী করবেন তাই ভেবে উঠতে পারছেন না তিনি।

গুরুর ফোনে ফোন করলে দেখা যায় সেটি বন্ধ। সেই সঙ্গে স্ত্রী’র মোবাইলও বন্ধ। গুরুর হাত ধরেই যে বাড়ি ছেড়েছেন তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত শফিকুল। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শফিকুল বলেন, “আমার গুরু যে একজন লম্পট, চরিত্রহীন তা আগে বুঝতে পারিনি”।

আরও পড়ুন: <ছাত্রদের থেকে ‘GOAT’ শুনেই আনন্দে আত্মহারা অঙ্কের শিক্ষক!>

তিনি বলেন, “ স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে গচ্ছিত লাখ খানেক টাকাও নিয়ে গেছেন ওই প্রতারক। ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে এবিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। বাচ্চাদের তাদের মা’কে ফিরিয়ে দেওয়াই এখন আমার বড় চ্যালেঞ্জ”।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এব্যাপারে জানিয়েছেন, “ অভিযোগ পেয়েছি, স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী’র খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রতারকেও খোঁজ চলছে”।