দিন কয়েক আগেই বেরিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। ফল প্রকাশ হতেই দেখা ছাত্রদের পাশের হার ৯০.১৯ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রীরা সামান্য পিছিয়ে ছাত্রদের তুলনায়। তাদের পাশের হার ৮৬. ৯৮ শতাংশ। এদিকে দিকে দিকে ফাল করা পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত। পাশের দাবিতে গরমের দুপুরে স্কুল ইউনিফর্ম পরে পাশের দাবিতে সরব ছাত্র-ছাত্রীরা।
Advertisment
উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে বনগাঁয় জাতীয় সড়ক অবরোধ। ইংরেজিতে ফেল করা ৩৭ ছাত্রীর অবরোধে তীব্র যানজট। পাশ না করালে আত্মহত্যার হুমকি ছাত্রীদের। জাতীয় সড়কে একটানা এই অবরোধ তুলতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশকেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। শেষমেশ স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
বনগাঁর কুমুদিনী স্কুল থেকে এবছর ২৭৯ জন পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৭ ছাত্রী ফেল করেন। তাতেই চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা। সোমবার সকালে বনগাঁর বাটার মোড়ে স্কুলের সামনেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন ফেল করা ছাত্রীরা। বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের দাবি, তাঁদের পাশ করিয়ে দিতেই হবে। খাতা দেখার ক্ষেত্রে কোথাও ফাঁক থেকে গিয়েছিল বলে মনে করেন কেউ কেউ।
তবে এসবের মাঝেই সামনে এসেছে এক ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে পাশের দাবিতে উত্তাল একদল ছাত্রী। তাদের দাবি, বাকী সকল বিষয়ে ভাল ফল করলেও ইচ্ছা করেই তাদের ইংরাজিতে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমন দাবি তোলেন এক ছাত্রী। এর পরই সংবাদ মাধ্যমের কর্মী ওই ছাত্রীর কাছ থেকে জানতে চান, আমব্রেলা বানান। তাতেই ভিরমি খান ওই ছাত্রী। যা বানান তিনি বললেন তা শুনে যে কেউই সঠিক বানানটিও ভুলে যাবে।
পাশাপাশি আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ ওনার মেয়ে ইংরাজিতেও ফোনে মেসেজ করেন। মেয়ের অন্যান্য বন্ধুরা যারা বাংলায় মেসেজ করেন তারা পাশ করলেও কেন তার মেয়েকে পাশ করানো হয়নি সেই দাবিতে সওয়াল হয়েছেন তিনি। এদিকে এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শিক্ষাবিদের একাংশ এর তীব্র নিন্দা করেছেন। কেউ আবার করোনা মহামারী পড়ুয়াদের কতটা পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছে সেকথাও মনে করিয়েছেন।