দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করেও জীবন সংগ্রামের লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন এমন অনেক ঘটনাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। তা সে প্ল্যাটফর্মে চায়ের দোকান থেকে এম.এ পাশ লটারিওয়ালা যাই হোক না কেন। এঁদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষকে আগামীর পথ দেখাবে। অনুপ্রেরণা জোগাবে। এবার তেমনই এক কাহিনী উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের প্রথম প্রতিবন্ধী ফুড ডেলিভারি বয়ের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন আইপিএস আধিকারিক দীপাংশু কাবরা।
তিনি এক প্রতিবন্ধী যুবকের ছবি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে হুইল চেয়ারে বসেই অনলাইনে অর্ডার করা খাবার গ্রাহকের হাতে তুলে দিচ্ছেন গণেশ মুরুগান। পেট চালাতে প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে ফুড ডেলিভারি বয়ের কাজকেই তিনি বেছে নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করে দুবেলা দুমুঠো অন্নের সংস্থান করছেন গনেশ। অসাধ্য সাধন করেছেন চেন্নাই নিবাসী গণেশ মুরুগান! পরিস্থিতির সাথে আপস না করে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যেই ডেলিভারি বয়ের কাজকেই বেছে নিয়েছেন এই যুবক। ৩৭ বছরের গণেশ মুরুগান ২০০৬ সালে এক পথ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মেরুদন্ডে জটিল অস্ত্রপচারের ফলে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারান। এরপর যেন গোটা জীবনটাই বদলে যায় তাঁর। কিন্তু থেমে যাননি তিনি। ঘুরে দাঁড়িয়েছেন জীবনে। বেছে নিয়েছেন ডেলিভারি বয়ের চাকরিকে।
আরও পড়ুন: <‘স্রেফ পাশে বসেই ঘুরেছিল ভাগ্যের চাকা’, রতন টাটাকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা শিল্পপতির!>
আরও, তিনি লিখেছেন বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা এই হুইল চেয়ারটি তৈরি করেছে আইআইটি মাদ্রাজ। টু-ইন-ওয়ান মোটর চালিত হুইলচেয়ারটি একটি বোতাম টিপে আলাদা করা যায় এবং পিছনের অংশটি একটি সাধারণ হুইলচেয়ারে পরিণত হয়। সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, জীবনের পথে চলতে বাঁধা গুলিকে আমাদের নিজেদেরই জয় করতে হয়। পোস্টটিকে 'অনুপ্রেরণামূলক' বলে বর্ণনা করেছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: < চমকের ছড়াছড়ি! প্রেমের টানে মেক্সিকো থেকে হাওড়া উড়ে এলেন তরুণী>
ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে এই পোস্ট। ইতিমধ্যেই প্রচুর সংখ্যক মানুষ যুবকের এই উদ্যমের প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে অনেকেই ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটোকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অসহায় এই যুবককে নিজের পা’য়ে দাড়াতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।