একের পর ছিনতাইয়ের ঘটনা! কিছুতেই কিনারা করতে পারছিল না পুলিশ। এমন সময়ে ছিনতাই বাজদের ধরতে অভিনব ফন্দি আঁটে মুম্বই পুলিশ। জোম্যাটো ডেলিভারি বয় সেজে অপারেশনে নামে মুম্বই পুলিশের বিশেষ দল। ব্যাস তাতেই আসে সাফল্য।
এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সোমনাথ ঘার্জে বলেন, “ কস্তুরবা মার্গ থানায় ৩টি ঘটনা এবং বাঙ্গুর নগর থানায় চেন ছিনতাইয়ের ১টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। সন্ধ্যা নামলেই ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে থাকায় পুলিশ এক অভিনব ফন্দি আঁটে। জোম্যাটো ডেলিভারির কায়দায় পিঠে ব্যাগ, টি-শার্ট, হেলমেট মাথায় অভিযানে নেমে পুলিশ। অভিযানে নামার আগে ৩০০ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ একাধিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অপরাধের কাজে ব্যবহৃত বাইক একটি রেলস্টেশনে পার্ক করা হয়েছিল। ডিসিপি বলেন, ‘পুলিশ নিশ্চিত ছিল যে অভিযুক্তরা তাদের বাইক ফেরত নিতে আসবে’।
এর পরে, কস্তুরবা পুলিশের পুরো ইউনিট জোমাটো ডেলিভারি বয়ের পোশাক পরে এবং প্রায় ৩ দিন ধরে অপেক্ষা করেছিল বিথলওয়াড়ি এবং আম্বিভলির আশেপাশে। অভিযুক্তদের একজন যখন তাদের বাইকটি নিতে আসে, তখন সে পালাতে পারেনি, কারণ পুলিশ আগে থেকে বাইকের প্লাগ খুলে নিয়েছিল। পরে অন্য আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হাতেনাতে ধরা হয় এবং দুটি বাইক ও চোরাই চেইন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: < পায়ের জুতো খুলে ডেলিভারি বয়কে বেধড়ক মার, তরুণীর কাণ্ডে হুলস্থূল নেটদুনিয়ায় >
ডিসিপি বলেন, চোরেরা অত্যন্ত চালাক। তারা আম্বিভলি পূর্বে তাদের বাইক পার্ক করার পরে আম্বিভলি পশ্চিমে যেত, অপরাধ করার পরে, যাতে বিভ্রান্তি তৈরি করতে সুবিধা হয়। এমনকি তাদের হাতেনাতে ধরার পরেও, পুলিশকে স্থানীয় আম্বিভলি মহিলাদের কঠোর প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, যারা তাদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন
ধৃতেরা হলেন- ফিরোজ নাসির শেখ ও জাফর ইউসুফ জাফরি। দুজনে যথাক্রমে ভিঠালওয়াড়ি ও আম্বিবলির বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতদের বিরুদ্ধে ২০টিরও বেশি ডাকাতির মামলায় রয়েছে। দুই অভিযুক্তকেই পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে”।