Advertisment

‘বড়বাবুর’ মর্নিং ওয়াকের জন্য রাস্তা বন্ধ, ভাইরাল হতেই পুলিশ কর্তার হাতে শো'কজের নোটিশ!

রোড ব্লকার বসিয়ে প্রতিদিন সকালের বেশ কয়েক ঘণ্টা ‘বড়বাবুর’ মর্নিং ওয়াকের জন্য মূল রাস্তার গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হতো।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kerala traffic cop, kerala traffic, kerala morning walks, kerala cop morning walks

প্রতীকী ছবি

ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে পোষ্য কুকুরকে নিয়ে IAS আধিকারিকের হাঁটার ঘটনার একমাস যেতে না যেতেই ফের একই রকম ঘটনা সামনে এসেছে। কেরলের একজন ট্রাফিক আধিকারিক সকালে তাঁর হাটার জন্য ব্যস্ত রাস্তার একাংশ বন্ধ করে রাখেন। এমনই অভিযোগ তোলপাড় ফেলেছে দেশজুড়েই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কুইন্স ওয়াকওয়ে সংলগ্ন রাস্তাটি সকালে ওই আধিকারিকের হাঁটার জন্য বন্ধ রাখা হয়। ওই রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারেনা।

Advertisment

জানা গিয়েছে রোড ব্লকার বসিয়ে প্রতিদিন সকালের বেশ কয়েক ঘণ্টা ‘বড়বাবুর’ মর্নিং ওয়াকের জন্য মূল রাস্তার গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হতো। রোজ সকালে স্কুল বাস এবং সকালের অফিস যাত্রীদের গাড়ি, এমনকি অটোরিক্সার মতো ছোট গাড়ি চলাচল করে কোচির কুইনস ওয়াকওয়ে সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে। শুধু মাত্র রবিবার সকাল ৬টা-৭টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে ছোটদের স্কেটিং বা সাইকেল চালানোর জন্য। কিন্তু পুলিশ কর্তা বাকি দিন গুলিতেও সেই একই নিয়ম জারি করেছেন।  অভিযোগ যার নামে তিনি কোচির ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিনোদ পিল্লাই।

publive-image
মর্নিং ওয়াকের জন্য রাস্তা বন্ধ!

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে গত তিন দিন ধরে রাস্তা বন্ধ থাকায় তাদের প্রতিদিনের যাতায়াত করতে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। স্কুল যেতে সমস্যা হচ্ছে পড়ুয়াদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবি অনুসারে দেখা যাচ্ছে শিশুদের রাস্তার অপর পাশ থেকে বাসে উঠতে বাধ্য করা হচ্ছে, যেখানে ট্রাফিকও ডাইভার্ট করা হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে রাখা হয়েছে রোড ব্লকার। রাস্তার একপ্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানযটের। এই খবর রাতারাতি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই কেরালার ওই ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: <সাইকেলে কুপোকাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট, পুতিনের ষড়যন্ত্র বলল নেটদুনিয়া!>

কয়েক মাস ধরেই দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়াম নিয়ে অসন্তোষ জমা হচ্ছিল। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামের শরীর চর্চা করেন জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়রা। বিগত কয়েক মাস ধরেই সন্ধ্যে সাতটার পরে তাঁদের স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। কারণ, সন্ধ্যে সাতটার পর পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে এই স্টেডিয়ামে বেড়াতে আসেন দিল্লির রাজস্ব দফতরের প্রধান সচিব সঞ্জীব খিরওয়ার। এই খবর তোলপাড় ফেলে। তড়িঘড়ি ওই আধিকারিককে লাদাখে বদলিও করা হয়। এর পর মাসখানেক যেতে না যেতেই কেরলের এই পুলিশ কর্তার ঘটনায় অসস্তি বেড়েছে প্রশাসনের।

viral news Kerala Police
Advertisment