বেতনের টাকায় পথশিশুদের পড়িয়ে নজির ‘পুলিশ কাকুর’! বদলিতে চোখে জল পড়ুয়াদের

২০১৮ থেকে তার ডিউটির পর শেষে প্রায় ১২৫ জন পথশিশুদের পড়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।

২০১৮ থেকে তার ডিউটির পর শেষে প্রায় ১২৫ জন পথশিশুদের পড়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
constable,Policeman,Rohit Kumar Yadav,teachers,Unnao

বেতনের টাকায় পথশিশুদের পড়িয়ে নজির ‘পুলিশ কাকুর’! বিদায়বেলায় কান্না চেপে রাখতে পারলেন না কেউই

রোহিত কুমার যাদব, উন্নাওয়ের সরকারি রেল পুলিশ (জিআরপি) এর হেড কনস্টেবল, সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে তার ডিউটির পর শেষে প্রায় ১২৫ জন পথশিশুদের পড়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।  সম্প্রতি, তাকে ঝাঁসির সিভিল পুলিশে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলির খবর বাচ্চাদের নিজের মুখে জানাতে গিয়ে চোখের জল মুছে ফিরে আসতে হয়েছে রোহিতকে।

Advertisment

অনাথ বাচ্চাদেরকে গত চার বছর যেভাবে যত্ন নিয়ে তিনি পড়িয়েছেন বাচ্চারা কিছুতেই তাকে যেতে দেবে না। পুলিশ কাকুর হাত পা ধরে কেঁদে কেটে একেবারে অস্থির বাচ্চারা। আর বাচ্চাদের ভালবাসায় আপ্লুত পুলিশ কাকুও নিজের চোখ জল আর ধরে রাখতে পারলেন না।

২০০৫ সালে ৩৮ বছর বয়সে উত্তরপ্রদেশ পুলিশে যোগদান। রোহিতের কথায়, “ডিউটি শেষে অবসর সময়ে অসহায় বাচ্চাদের পড়ানোর মধ্যে এক আলাদা শান্তি রয়েছে । আমার বাবা আমাকে এই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন। তিনিও অনাথ বাচ্চাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। আমিও বাবার অনুপ্রেরণায় ‘হর হাত মে কালাম পাঠশালা’ চালু করি। নিজের বেতন থেকে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য খরচ করতাম”।

আরও পড়ুন: < পায়ের জুতো খুলে ডেলিভারি বয়কে বেধড়ক মার, তরুণীর কাণ্ডে হুলস্থূল নেটদুনিয়ায় >

Advertisment

 উন্নাও রেল পুলিশের এসএইচও রাজ বাহাদুর বলেন, “ আমি এমন একজন পুলিশ কর্মীকে দেখিনি যে প্রান্তিক শিশুদের কল্যাণে এতটা নিবেদিত। তিনিও নিয়মিত পুলিশি দায়িত্বও  পালন করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের সবার জন্য আদর্শ”। 

police viral uttar pradesh