ছত্তিশগড়ে মদ নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়েই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এর মাঝেই ঝড় তুলেছে মন্ত্রীর একটি ভিডিও। ছত্তিশগড়ের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী ডঃ প্রেমসাই সিং মাদক বিরোধী প্রচারে বক্তব্য রাখাকালীন সময়ে মদের গুণাগুণকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন। মন্ত্রীর সেই ভিডিও ব্যপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাদক মুক্তি অভিযানের এক অনুষ্ঠানে কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের কবিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, 'মন্দির-মসজিদ নিয়ে মানুষ ঝগড়া করে, মধুশালা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। কিন্তু আত্মনিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। আমরা নির্বাচন ও আমোদ-প্রমোদে মদ খেয়ে থাকি। এরপর মদ খাওয়ার উপায়ও বুঝিয়ে দেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে জরাজীর্ণ রাস্তার প্রশ্নে তিনি বলেন, 'রাস্তাঘাট খারাপ হলে দুর্ঘটনা কম হয়'।
নেশা বিরোধী প্রচারে গিয়ে হরিবংশ রাই বচ্চনের মধুশালা বই থেকে কয়েকলাইন বলে ফেলেন মন্ত্রী। আর তাতেই একেবারে বিতর্কের ঝড়। তিনি বলেন, মদ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রিতভাবে খেতে হয়। সেই সঙ্গে মদ খাওয়ার পদ্ধতিও সর্বসমক্ষে বিশদে তুলে ধরেন তিনি।
বুধবার মাদক বিরোধী অভিযানে একটি কর্মসূচিতে উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. প্রেম সাই সিংও। মাদকমুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি মদ্যপানের উপায়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অনেক স্কুলের পড়ুয়ারাও হাজির ছিলেন। ছাত্রদের দাবি তারা বুঝতে পারেনি যে মন্ত্রীমশাই মদের গুণাগুন তুলে ধরছেন নাকি মাদক মুক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করতে এসেছেন। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকরা অম্বিকাপুর-বারানসী হাইওয়ের বেহাল দশা তুলে ধরে তিনি বলেন, রাস্তা খারাপের কারণে পথ দুর্ঘটনা কম হয়। মন্ত্রীমশাইয়ের এই বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এদিকে ছত্তিশগড়ের মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নেশা মুক্তি অভিযানে গিয়ে মন্ত্রীর এই বক্তব্য কতটা শোভনীয় সেই প্রশ্নও উঠছে। ওয়াদারফনগরের ওই কর্মসূচিতে স্কুলের পড়ুয়ারাও ছিল। ইতিমধ্যেই এক মিনিটের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন: < ফুটপাতবাসীকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিল পথ কুকুর, মিষ্টি ভিডিও ভাইরাল! >
ওই বক্তব্যে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, হরিবংশ রাই বচ্চনজি লিখেছিলেন, মন্দির মসজিদ ঝগড়া তৈরি করে, কিন্তু মধুশালা মানুষের মধ্যে বিভেদ রুখে দেয়। কিন্তু এই মদ্যপানের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখা দরকার। আপনার নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। এরপরেই তিনি বলেন, একটা অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম যেখানে মদ্যপানের খারাপ দিকের কথা উল্লেখ করে মদ্যপানে বিরোধিতা করা হচ্ছিল। আবার অন্য অনেকেই মদের ভাল দিকের কথা বলে সমর্থন করছিলেন। আসলে মদ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। আমরা আমোদ প্রমোদে, ভোটে এটার ব্যবহার করি।