বাড়ির পোষা কুকুরের কামড়ে প্রাণ হারালেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। ঘটনাটি লখনউয়ের। মঙ্গলবার বাড়িতেই পায়চারির সময় বারান্দায় একটি পিট বুলের কামড়ে গুরুতর জখম হন ওই বৃদ্ধা। খবর অনুসারে জানা গিয়েছে বৃদ্ধার শরীরে একাধিক জায়গায় কামড়ে মাংস তুলে নিয়েছে বাড়ির পোষা কুকুর। সে সময় বাড়িতে একটি ল্যাব্রাডরে এবং একটি পিটবুল কুকুরের সঙ্গে ঘরে একাই ছিলেন ওই মহিলা।
ছেলে এসে দেখেন রক্তে সারা ঘর ভেসে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম সুশীলা ত্রিপাঠি,। মহিলার পেট, ঘাড়, বাহু এবং পায়ে মোট ১২ টি ক্ষত মিলেছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। কুকুর দুটি দুটি আলাদা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ছিল বলেই জানিয়েছেন সুশীলা দেবীর ছেলে। অত্যন্ত হিংস্র এই পিটবুল প্রজাতির কুকুর বিশ্বের অনেক দেশেই পোষা নিষিদ্ধ। তবে এক্ষেত্রে কেন বা কী কারণে বৃদ্ধা ওই মহিলাকে এভাবে ছিঁড়ে খেল কুকুরটি তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষিকা ছেলে অমিতের সঙ্গে থাকতেন। স্বামী বেশ কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছে। সুশীলা দেবীর ছেলে অমিত পেশায় একজন জিম ট্রেনার। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন 'সুশীলা দেবীর চিৎকার শুনেই ছেলে অমিতকে তড়িঘড়ি ফোন করি। ওনার আশেপাশে পিট বুল প্রজাতির কুকুরকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে'।
আরও পড়ুন: <উত্তাল সমুদ্রে ভেসে গেল স্বামী-সন্তান! পাড়ে দাঁড়িয়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন অসহায় মহিলা>
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে সারা শরীরে মত ১২ টি জায়গায় ক্ষত স্পষ্ট। এমনকী মহিলার পেটের মাংস ছিঁড়ে নিয়েছে কুকুরটি । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে সুশীলাদেবী মাঝেমধ্যেই কুকুর দুটিকে নিয়ে বারান্দায় বসে থাকতেন। দুবেলা তাদের খেতেও দিতেন তবে এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তবে এটাই প্রথম নয় এর আগেও হরিয়ানায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পিট বুলের আক্রমণে নরেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।