New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/cats-19.jpg)
মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স! তপ্ত দুপুরে মেয়ের নিথর দেহ কোলে গ্রামে ফিরলেন বাবা
এমন নির্মম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স! তপ্ত দুপুরে মেয়ের নিথর দেহ কোলে গ্রামে ফিরলেন বাবা
শিশুকন্যাকে হারিয়ে হতভাগ্য বাবার অ্যাম্বুলেন্সের অনুরোধ,বারবার আবেদন করা সত্বেও মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স। শেষ মেশ তপ্ত দুপুরে একরত্তি নিথর মেয়ের দেহ নিয়েই গ্রামের পথে হাঁটা শুরু করলেন বাবা। এমন নির্মম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়িয়ে সদ্য সন্তান হারানো এক বাবার করুন কাহিনী। যা নাড়া দিয়ে গিয়েছে লক্ষ-কোটি ভারতীয়কে। ফের একবার ওড়িশার দানা মাঝির ঘটনার পুনরাবৃত্তি মধ্যপ্রদেশে।
জানা গিয়েছে বছর চারেকের ফুটফুটে মেয়ে হটাত করেই কেমন যেন নেতিয়ে যায়। বাবা লক্ষ্মণ আহিরওয়াড় মেয়েকে নিয়ে ছোটেন বক্সা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে অবস্থার অবনতি হতে রেফার করা হয় দামোর জেলা হাসপাতালে। তড়িঘড়ি মেয়েকে সুস্থ করতে বাবা ছোটেন সেখানে। কিন্তু সেখানে নিয়েই লাভ হয়নি। মৃত্যু হয় বছর চারেকের ছোট মেয়ের। এরপর থেকে শুরু হয় পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি আসার জন্য বারবার হাসপাতালে অনুরোধ করেন বাবা।
A family in Chhatarpur had to carry the dead body of a four-year-old girl on their shoulders as the authorities allegedly did not provide a hearse to them to return to their village @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/vyTJ0meRpp
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) June 10, 2022
অভিযোগ কাতর বাবার আবেদনে সাড়া দেয়নি হাসপাতাল। অগত্যা সেখান থেকে শুরু করেন হাঁটা। মেয়ের দেহ কম্বলে মুড়িয়ে গ্রামের পথে হাঁটা দেন লক্ষণ। বাসে চেপে খানিক পথ এসে তিনি পৌঁছান বক্সায়। অভিযোগ সেখানেও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে একটা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কাকুতি-মিন্তি করেন লক্ষণ সেখান থেকে তাকে ফিরিরে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে KK-এর গানে ঝড় শিল্পীর, ভিডিও ভাইরাল মুহূর্তেই
এরপর কোন উপায় না দেখে গণগণে সূর্যকে মাথার ওপর রেখে মেয়ের নিথর দেহ কোলে করে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মুহূর্তেই এই দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার তা ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় দেশ জুড়ে। এব্যাপারে মৃত শিশু’র দাদুর অভিযোগ, “বারবার হাসপাতালের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করেই তা পায়নি। কোন উপায় না দেখে মৃতদেহ নিয়েই গ্রামের উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করি”।