কন্যা সন্তান হওয়ার আনন্দে ৪ হাজার ফুচকা বিতরণ ফুচকা বিক্রেতার। এই কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। জানা গিয়েছে দীর্ঘ ১০ বছর পরে ঘরে কন্যাসন্তান হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা ফুচকা বিক্রেতা সঞ্জিত। নেটিজেনরা সঞ্জিতের এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তার এই কাহিনী এখন ভাইরাল।
সঞ্জিত চন্দ্রবংশী! পেশায় ফুচকা বিক্রেতা, কন্যাসন্তান হওয়ার খুশিতে ৪ হাজার ফুচকা বিলি করেন তিনি। আর সেই ঘটনাই এখন রীতিমত ভাইরাল। জানা গিয়েছে কন্যা সন্তান হওয়ার খুশিতে তার স্টলের দাঁড়ানো ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ৪ হাজার ফুচকা খাওয়ান তিনি। সঞ্জিতরা তিন ভাই, সকলেরই বিয়ের পর পুত্র সন্তান হয়। সঞ্জিতের কথায় '১০ বছর পর, আমাদের ঘরে শিশুকন্যা হওয়ায় আমি আমার স্টলে দাঁড়ানো সকলকে ফুচকা খাইয়ে এই খুশি ভাগ করে নিয়েছি। এটা আমাদের পরিবারের জন্য গর্বের মুহূর্ত'।
সঞ্জিত আরও বলেন, 'এখনকার সমাজে মেয়েদের অনেকক্ষেত্রেই 'পণ্য' বলে ভাবা হয়। অনেক পরিবার কন্যা সন্তান হওয়ায় স্ত্রী'কে নির্যাতন করেন। আমি বলতে চাই, কন্যাসন্তান সকলের জন্য আর্শীবাদ। এমন খুশির মুহূর্তকে সকলেই উপভোগ করুন। সঞ্জিত প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ফুচকা বিক্রি করেন। কিন্তু একটি কন্যা সন্তানের আনন্দে তিনি বিনামূল্যে ৪ হাজার ফুচকা মানুষকে খাওয়ান।
আরও পড়ুন : < নিখোঁজ সাধের পোষ্য, ফিরে পেতে কাতর আবেদন! সন্ধানে মিলবে নগদ ২৫ হাজার >
মঙ্গলবার সঞ্জিতের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, বুধবার বাড়িতে 'লক্ষ্মী'র আগমনের খুশিতে ৪ হাজারের বেশি ফুচকা বিনামূল্যে বিতরণ করেন তিনি। সঞ্জিত বলেন, তাঁর ঘরে কন্যাসন্তানের জন্মের খবর পাওয়া মাত্রই তাঁর আনন্দ 'সপ্তমে' পৌঁছায়। ওই মুহূর্তে তিনি শহরের মানুষজনদের বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ানোর কথা ভাবেন। তার দোকানে ফুচকা খেয়ে এক ব্যক্তি বলেন যে তিনি সঞ্জিতের এই উদ্যোগে খুব খুশি, এই উদ্যোগটি তাদের সকলের জন্য একটি শিক্ষা। সমাজ যখন কন্যা সন্তানকে বোঝা বলে মনে করে। তখন সঞ্জিত এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।