করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারেন, এমন ভয় থেকেই এবার বিপুল পরিমাণ টাকা ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি। তারপর সেই নষ্ট নোট নিয়েই ব্যাংকে ছুটলেন ভালো নোট পরিবর্তন করার জন্য। এমনই অবাক করার মত কান্ড ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
সিওলের উপকন্ঠে আনসান সিটি এলাকার এক ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয় থেকেই ৫০ মিলিয়ন ইওন ওয়াশিং মেশিনে ঢোকান। তারপর সেই নোট নিয়েই ছোটেন ব্যাংকে।
আরও পড়ুন
পরিচয়পত্র নিয়ে কলকাতার হুন্ডাই শোরুমে ‘চাকরি’ কুকুরের, প্রকাশ্যে আনলেন স্বস্তিকা
দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাঙ্ক নীতি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত নোট পাল্টে কতটা অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে তা অনেকটাই নির্ভর করে ক্ষতির পরিমাণের উপর। ক্ষতির পরিমাণ যত বেশি হবে, ততই পাল্টে দেওয়া অর্থের পরিমাণ কম হতে থাকে। কিন্তু ব্যাংক অফ সাউথ কোরিয়া জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অর্ধেকের বেশি এতটাই ক্ষতি হয়েছিল যে সেই পরিমাণ অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাকে ২৩ মিলিয়ন ইওন (১৯৩২০ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে চোদ্দো লাখের বেশি) ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক সিও জি ইওন জানিয়েছেন, ঠিক কত পরিমাণ নোট উনি ওয়াশিং মেশিনে ঢেলেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়, কারণ অধিকাংশ নোট শনাক্তকরণেরও উপযোগী ছিল না।
সেই ব্যক্তির নাম ইওম। ব্যক্তির নাম প্ৰকাশ করা ছাড়া আর কোনো তথ্য জানায়নি ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, পরিবারের এক সদস্যের অন্তষ্টি কার্যের পর আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ অর্জন করেছিলেন, রীতিনীতি অনুযায়ী। সেই অর্থই ওয়াশিং মেশিনে ঢেলে নষ্ট করেন তিনি।
শুধু ইওমই নয়। কিম নামের এক ব্যক্তি করোনা সংক্রমণ রোধ করার জন্য ৫.২ মিলিয়ন ইওন (৪৩৭০ ডলার) মাইক্রোওয়েভে দিয়েছিলেন। তারপরেই কোরিয়ার ব্যাঙ্কের তরফে জনসাধারণকে এসব কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন