নিশ্চিত মৃত্যুমুখ থেকে শতাধিক যাত্রীকে বাঁচিয়ে হিরো পাইলট মনিকা খান্না। অসাধ্যসাধন করে কুর্নিশ আদায় করেছেন স্পাইসজেটের ক্যাপ্টেন মনিকা। অত্যন্ত সাহস এবং ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে প্রতিকূল অবস্থায় এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করিয়ে প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন এই মহিলা পাইলট। বিমান আগুন লাগা অবস্থায় যেভাবে তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে বিমান অবতরণ করেছেন তার জন্য কোনও প্রশংসাই কম নয়।
রবিবার পাটনা থেকে দিল্লির উদ্দেশে উড়ান দিয়েছিল স্পাইসজেটের বিমান। বিমানে তখন ১৮৫ জন যাত্রী। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই পাটনায় ফিরে আসতে বাধ্য হয় বিমানটি। কারণ, টেক অফের পরেই জানলা দিয়ে যাত্রীদের কয়েকজন দেখতে পান, বিমানের ডানায় আগুন। বিষয়টি জানানো হয় বিমানবন্দরে এটিসি (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল) থেকে তৎক্ষণাৎ এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু অবতরণ এতটা সহজ ছিল না। পাটনার জয়প্রকাশ নারায়ণ বিমানবন্দরে রানওয়ের একদিকে পর পর গাছের সারি আর আরেক দিনে ট্রেনলাইন। কীভাবে নিরাপদে ল্যান্ডিং হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সবাই। ছিল অসংখ্য যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের প্রাণ সংশয়। নামার আগেই যদি পুরো বিমানে আগুন ধরে যায় তাহলে তো কেউ বাঁচবে না, চিন্তায় ঘুম ওড়ে সবার।
আরও পড়ুন মাঝ আকাশে বিমানে আগুন-বন্ধ ইঞ্জিন, ‘মরি-বাঁচি’ দশায় আত্মারাম খাঁচা ছাড়া যাত্রীদের
তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রাখেন মনিকা। অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখান তিনি। তাঁর এই অসীম সাহসিকতা এবং বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে খোদ ডিজিসিএ। বিমানের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঝ আকাশে সবকটি ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন মনিকা। এর পর নিরাপদে ল্যান্ডিং করান বিমানের। ১৮৫ জন যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। চার বছর হল তিনি স্পাইসজেটে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতা হল তাঁর। আর প্রথম চেষ্টাতেই বাজিমাত করে নজর কেড়েছেন মনিকা।