আজ রবিবার দেশজুড়ে মহা সমারোহে পালিত হয়েছে দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী। দেশ-দশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর অবদান কোনওদিন ভোলার নয়। জন্মজয়ন্তীর দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল নেতাজির পদত্যাগ পত্র। তাও আবার ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার সেই চিঠি।
১৯২০ সালে তিনি আইসিএস পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পেয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকারের অধীনে। কিন্তু একবছর পরই চাকরি থেকে ইস্তফা দেন সুভাষ। সে ইতিহাস সবার জানা। কিন্তু ইস্তফার চিঠিতে কী লিখেছিলেন তিনি, তা জানা আছে? সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেটা ভাইরাল হয়েছে। ১৯২১ সালের ২২ এপ্রিল লেখা চিঠিতে নেতাজি ব্রিটিশ সরকারের সচিব এডউইন মন্তাগু-কে লিখছেন, "আমার প্রত্যাশা, আমার নাম ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের প্রবেশনারি তালিকা থেকে সরানো হোক।"
তখন ২৪ বছরের তরতাজা যুবক সুভাষ। অকুতোভয় বঙ্গসন্তান লিখছেন, তাঁর ইস্তফা গৃহীত হলে তিনি ইন্ডিয়া অফিসে তাঁর ভাতার ১০০ পাউন্ড ফেরত দিয়ে দেবেন। ইতিহাসবিদ লিওনার্ড এ গর্ডন, যিনি 'ব্রাদার্স এগেইনস্ট দ্য রাজ'- নামে ভারতীয় দেশপ্রেমী শরৎ এবং সুভাষচন্দ্র বোসের জীবনী লিখেছেন, তিনি বইতে বলেছেন, সুভাষ ১৯২০ সালের অগস্টে আইএএস পরীক্ষায় সারা ভারতে চতুর্থ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক, কেন্দ্রের কাছে ফের আর্জি মমতার
নেতাজির ইস্তফা পত্রের একটি ফ্যাসিমিল কপি জাতীয় সংগ্রহশালা থেকে ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার পারভিন কাসওয়ান বোসের সেই চিঠি টুইট করেছেন। ১৯২১ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সুভাষ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেন। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন ১৯৪২ সালে। যা পরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।