ভয়ঙ্কর ঘটনা! মধ্যপ্রদেশের এক বেসরকারি স্কুলে শিশুদের মধ্যে করোনা টিকা দেওয়ার কাজ চলছিল। সেখান থেকে অভিযোগ আসে একটি সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই পরপর ৩৯ জন শিশুকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই হুলস্থূল পড়ে যায় স্কুল চত্বরে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা।
জানা গিয়েছে জিতেন্দ্র আহিরওয়ার নামে এক নার্সিং ছাত্রকে টিকা দেওয়ার জন্য বেসরকারি স্কুলে মোতায়েন করা হয়েছিল। টিকা দেওয়ার সময় এক পড়ুয়ার বাবা লক্ষ্য করেন ওই কর্মী একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করেই পর পর বাচ্চাদের টিকা দিয়ে চলেছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেন, ওই ছাত্র একটি বেসরকারি নার্সিং স্কুলের পড়ুয়া। তাকে উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়েই স্কুলে পাঠানো হয়েছিল।
ভাইরাল ভিডিওতে যুবক অভিযোগ করেন টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তাঁর পরামর্শ মেনেই সেই এই কাজ করেছেন। জেলার সিএমএইচও ডাঃ গোস্বামীকে এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে টিকা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে। গোপালগঞ্জ থানার আইসি কমল সিং ঠাকুর বলেছেন, “অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে”। ডিস্ট্রিক্ট ইমিউনাইজেশন অফিসার ডক্টর রাকেশ রোশনের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: <৪০ বারের চেষ্টায় স্বপ্নের সংস্থা Google-এ চাকরি যুবকের, ধৈর্য্যকে কুর্ণিশ নেটদুনিয়ার!>
জানা গিয়েছে ৩৯ জন পড়ুয়া সকলের বয়স ১৫ বা তার বেশি। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুল থেকেই টিকাদানের আয়োজন করা হয়। একই সিরিঞ্জ দিয়েই সকল পড়ুয়াকে টিকা দান করা হয়। বিষয়টি প্রথম একজন অভিভাবক দেখেন এবং তিনি তাতে আপত্তি জানান। এরপর ঘটনার কথা জানাজানি হলে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমন ঘটনায় শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। চরম অবহেলার জন্য দায়িত্বে থাকা সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। নেটিজেনরা ওই নার্সিং স্টাফের দায়িত্ব এবং কাণ্ডজ্ঞান নিয়েও সরব হয়েছেন।