রাস্তা দিয়ে ছুটে চলেছে চিকিৎসকের গাড়ি। গাড়ির সঙ্গে বাঁধা রয়েছে এক পথকুকুর। প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া, ছুটে চলেছে দ্রুত গতির গাড়ির সঙ্গে। সাতসকালেই এমন কাণ্ডে তোলপাড় রাজস্থানের যোধপুর।
ডাক্তারদের সাক্ষাৎ ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে। কিন্তু রাজস্থানে এক ডাক্তারের কাণ্ডে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি রাজস্থানের যোধপুর শহরে। সেখানে পথকুকুরের প্রতি এক চিকিৎসকের নিষ্ঠুর ব্যবহারে মানুষের মনে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
কুকুরটিকে দড়ি দিয়ে গাড়ির সঙ্গে বেঁধে যোধপুরের রাস্তায় ঘোরান ওই চিকিৎসক । এই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়ঙ্কর ভাইরাল হচ্ছে। এর পরই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রবিবার সকালে যোধপুরের বিখ্যাত প্লাস্টিক সার্জন ডাঃ রজনীশ গালওয়া কুকুরের গলায় দড়ি বেঁধে সেটিকে গাড়ির সঙ্গে বেঁধে গাড়ি চালাতে শুরু করেন। কুকুরটিও দ্রুত গতিতে ছুটে চলা গাড়ির সঙ্গে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে থাকে। দৌড়ানোর সময় কুকুরটি বেশ কয়েকবার পড়ে আহত হয় এবং রক্তপাতও হয় বলে জানা যায়।
কয়েকজন যুবক এই কাণ্ড দেখে গাড়ির সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন এবং কুকুরটির দড়ি খুলে দেন। চিকিৎসক জানান, 'কুকুরটি তার বাড়ির সামনে রোজ সারারাত ধরে ডাকতে থাকে, যার কারণে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। সেই সঙ্গে কুকুরটি বাড়ির দালান নোংরা করে'। তাই শাস্তি দিতেই তিনি এই পথ বাছেন। যদিও একজন চিকিৎসকের এই যুক্তিতে অবাক হয়ে যান সকলেই।
আরও পড়ুন: < দল বেঁধে হলে গিয়ে সিনেমা দেখবেন কাশ্মীরের মানুষও! পুলওয়ামায় মাল্টিপ্লেক্সের উদ্বোধন >
শহরের অ্যানিম্যাল কেয়ার সোসাইটির সহ-সভাপতি অপর্ণা বিসা বলেন, এই কাজের জন্য চিকিৎসককে বাঁধা দেওয়া হলে তিনি যুবকদের সঙ্গে বচসার জড়িয়ে পড়েন। তাদের সঙ্গেও হাতাহাতি শুরু হয় চিকিৎসকের। এরপর স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবক ও এনজিও কর্মীদের সহায়তায় কুকুরটিকে চিকিৎসকের কবল থেকে উদ্ধার করে। ওই চিকিৎসক যোধপুরের মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালে কর্মরত বলেও জানা গিয়েছে।
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে অপর্ণা বিসা বলেন, “একজন চিকিৎসক যদি পথ কুকুরের সঙ্গে এমন আচরণ করেন তাহলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমরা কী আশা করতে পারি” !