রেল স্টেশনে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই পর্নোগ্রাফি সামগ্রী ডাউনলোড করার জন্যই অধিক পরিণামে ব্যবহার করা হচ্ছে! এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে এই সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের শিরোনামে। কী বলা হয়েছে সেই প্রতিবেদনে? প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য আদর্শ টাইমপাসের একটা মাধ্যম হয়ে উঠেছে পর্নোগ্রাফি।
সৌজন্যে স্টেশনে থাকা ফ্রি ওয়াই-ফাই পরিষেবা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেকেন্দ্রাবাদের পরেই এই তালিকায় রয়েছে হায়দ্রাবাদ, বিজয়ওয়াড়া এবং তিরুপতি৷ যাত্রী সাধারণের জন্য উন্নত নেট পরিষেবা প্রদানের জন্য ভারতীয় রেল আরও উন্নত নেটওয়ার্ক স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছে সেখানে এই রিপোর্ট মাথায় হাত ফেলেছে রেলের।
আরও পড়ুন: ছেলে ছেলে দেখতে, Gay বলে তরুণীকে চরম হেনস্তা, কাঠগড়ায় শহরের অভিজাত ক্লাব
RailTel-এর তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ের সমস্ত বিভাগ জুড়ে রেলস্টেশনে সার্চ কনটেন্ট পর্নোগ্রাফি। ডাউনলোডের সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশ। সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ের অধীনে থাকা ৫৮৮ টি স্টেশনে উচ্চ-গতির ওয়াইফাই পরিষেবার পরিকল্পনা করেছে রেল। কিন্তু এই পরিসংখ্যান দেখে রেলের আধিকারিকরা পিলে চমকে উঠেছেন। প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ের অধীনে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে গড়ে প্রতিদিন ১০ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। তার মধ্যে ৩.৫ লক্ষ মানুষের মূল সার্চ কনটেন্ট পর্নোগ্রাফি।
আরও পড়ুন: ভক্তের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ অমিতাভ, দিলেন মোক্ষম জবাব!
এবিষয়ে রেলের এক আধিকারিক জানান, “আমাদের কাছে যে ডেটা এসেছে সেখান থেকে আমরা জানতে পেরেছি স্টেশনের WiFi ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি সার্চ করা হয়েছে সবথেকে বেশি। যদিও একাধিক পর্ন ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু VPN এবং আরও কিছু ওয়েবসাইট থেকে কন্টেন্ট ডাউনলোড করা সম্ভব। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “বিনামূল্যে যে ৩০মিনিট করে নেট ফ্রি অ্যাকসেস করা যায় তাতে ৩৫০এমবি করে ডেটা অ্যাকসেস করা সম্ভব”।