শ্রেয়াস হোসুর ‘আয়রনম্যান ট্রায়াথলন’ সম্পন্ন করার জন্য প্রথম ভারতীয় রেলওয়ে আধিকারিক হিসাবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ইভেন্টটিকে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন এক-দিনের ইভেন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কর্ণাটকের এই রেল আধিকারিক ‘আয়রনম্যান ট্রায়াথলন’ সম্পন্ন করার নজির গড়েছেন।
আয়রনম্যান ট্রায়াথলন ইভেন্টে রয়েছে ৩.৮ কিমি সাঁতার, ১৮০ কিমি সাইকেল চালানো এবং ৪২.২ কিমি দৌড় – সবই এক দিনে। এই ইভেন্টটি সম্পুর্ণ করার সময়সীমা ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা। হোসুর মাত্র ১৩ ঘণ্টা ২৬ সেকেন্ডের রেকর্ড সময়ে ইভেন্টটি সম্পূর্ণ করেছেন।
জার্মানি থেকে এক সাক্ষাৎকারে শ্রেয়াস বলেন, “একবার ইভেন্ট শুরু করলে আপনাকে সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে না। যদিও আপনার বাইক কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে তাও সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। তাই একজন প্রতিযোগীকে শুরুর আগেই সব কিছু প্ল্যান করে নিয়ে এগোতে হবে। তিনি বলেন আমি আমারা কোচ সোম্য রাউতের কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন জার্মানির হামবার্গ লেকের জল এতটাই ঠাণ্ডা ছিল যে আমাকে ওয়েটস্যুট নিয়ে সাঁতার কাটতে হয়েছিল। একইভাবে, যখন আমি পেডেলিং করছিলাম, আমার পায়ে ক্র্যাম্প ধরতে শুরু করে। সকল প্রতিকূলতা জয় করে মাত্র ১৩.২৬ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি তার ইভেন্ট শেষ করেন।
আরও পড়ুন: রানাঘাটের ‘অন্নপূর্ণা’ পাপিয়া’র ছোঁয়ায় আক্ষেপ ঘুচল প্রবীণ দম্পতির
পাশাপাশি তিনি বলেছেন এমন খুশির মুহূর্তে আমার স্ত্রী’ কাঁদছিল। মাও খানিক উদ্বিগ্ন ছিল। দক্ষিণ পশ্চিম রেলওয়ের উপ-আর্থিক উপদেষ্টা হিসাবে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত শ্রেয়াস। স্ত্রী BMRCL-এর জেনারেল ম্যানেজার।
প্রাক্তন আইপিএস অফিসার গোপাল বি হোসুরের ছেলে শ্রেয়াস তার এই কৃতিত্বের জন্য পরিবার এবং সহকর্মী সকলের কাছেই কৃতজ্ঞ। ইভেন্টে অনবদ্য পারফরমেন্স প্রসঙ্গে শ্রেয়াস বলেন, এই ইভেন্ট জয়ের অন্যতম চাবিকাঠি হল কঠোর প্রশিক্ষণ এবং স্নায়ু ঠাণ্ডা রেখে চলা। আমি এটি করতে পেরে আমি খুশি”।