New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/cats-95.jpg)
জানেন রতন টাটার ভাললাগার কাজ কোনটি, ভিডিওতে নিজেই ফাঁস করলেন সেকথা…..
কিংবদন্তি এই শিল্পপতি রতন টাটা সম্পর্কে এক আবেগঘন পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানেন রতন টাটার ভাললাগার কাজ কোনটি, ভিডিওতে নিজেই ফাঁস করলেন সেকথা…..
স্রেফ পাশে বসাতেই ভাগ্য ফিরেছিল হেলথকেয়ার সংস্থার এক পরিচিত নাম ChrysCapital এর পার্টনার সঞ্জীব কলের। কিংবদন্তি এই শিল্পপতি রতন টাটা সম্পর্কে এক আবেগঘন পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছেন কীভাবে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেন শিল্পপতি রতন টাটা। লিঙ্কডিনে তিনি তুলে ধরেছেন সেকথা।
সালটা ২০০৪। জেট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মুম্বাই থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন সঞ্জীব। তাঁর সংস্থার জন্য বিনিয়োগকারীর সন্ধানে। মুম্বই পৌঁছেই তিনি একটি নামী-দামী সংস্থার সঙ্গে মিটিং করেন। কিন্তু মিটিং ফলপ্রসূ না হওয়ার কারণে সেদিন খানিক হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে আসার জন্য তিনি বিমানে চড়েন। সিটে বসেই কোলে ল্যাপটপ খুলে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে চোখ বোলাতে থাকেন, খোঁজার চেষ্টা করতে থাকেন কেন তাঁর আবেদনে সাড়া এল না। সেই সঙ্গে নিজের ভুল শুধরে নেওয়ারও চেষ্টা করছিলেন তিনি। হটাত করেই বিমানে কিছু একটা ব্যস্ততা দেখে তিনি মুখ তুলে তাকান। তাকিয়েই অবাক হন সঞ্জীব। ঠিক তার পাশের সিটেই বসে রয়েছে বিখ্যাত শিল্পপতি রতন টাটা। সঞ্জীব হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন তাঁর দিকে। ফের তিনি তার ল্যাপটপে মনোনিবেশ করেন।
এরপর বিমানে জুস খেতে গিয়েই সঞ্জীবের টাইয়ে কিছুটা জুস পড়ে যায়। এই দেখেই সঞ্জীবকে রুমাল এগিয়ে দেন স্বয়ং রতন টাটা। ধন্যবাদের ভাষা খুঁজে পাননা সঞ্জীব। এরপরই শুরু হয় কথোপকথন। তিনি লিখেছেন, মিটিং ভেস্তে যাওয়ার কারণে আমি মনমরা ছিলাম। সেটাই লক্ষ্য করেন রতন টাটা। তিনি আমার কাছে জানতে চান কী কারণে আমি মনমরা? সঞ্জীব তখন তাঁকে জানান, ভারত এমন দুজন মার্কিন বিজ্ঞানীকে হারাতে চলেছে যারা দেশের প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি তৈরি করতে চায়। তিনি আরও জানান, তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্যই তাঁর মুম্বই আসা। কিন্তু লগ্নিকারি সংস্থার সঙ্গে মিটিং ব্যর্থ হওয়ায় তিনি এখন বাড়ির পথে ফিরতে চলেছেন।
আরও পড়ুন: < চুমুকেই চমক! সোনার চা’য়ের দাম লাখ টাকা>
সঞ্জীবের কথা শুনেই রতন টাটা তার ফোন নম্বর চান এবং তাকে বলেন টাটা গ্রুপ শীঘ্রই তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। বাড়ি ফিরতেই সেদিন রাতেই সঞ্জীবের মোবাইলে একটি কল আসে। যেটি ছিল টাটা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজারের। তিনি সঞ্জীবকে পরদিন মুম্বই আসার অনুরোধ করেন। টাটা গ্রুপের সামনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তার আইডিয়া তুলে ধরাতেই মেলে সবুজ সংকেত। সঞ্জীব তার পোস্টে রতন টাটাকে একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক বলেও বর্ণনা করেছেন