পৃথিবীতে এমন অনেক সেতু রয়েছে যেগুলোকে বিশ্বের সবচেয়ে 'বিপজ্জনক সেতু' বলে মনে করা হয়। এই সেতুটি এতটাই বিপজ্জনক যে এর উপর দিয়ে চলাচলকারী মানুষজন প্রাণভয়ে সিটিয়ে থাকেন। এমনই একটি সেতু পেরুর কুজকো গ্রামে যা ঘাসের তৈরি দড়ি দিয়ে তৈরি। এই সেতুটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সেতু হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। যার উপর দিয়ে হাঁটার সময় মানুষজন হোঁচট খেতে বাধ্য হবেন, প্রাণভয়ে মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে আর্তনাদ।
আসলে, এই সেতু ঘাসের তৈরি দড়ি দিয়ে নির্মিত, যা কুজকো গ্রামকে পেরুর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং সেতুটি এখানকার আদিবাসীরা ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে তৈরি করেছে এই সেতু। এই সেতুটি ১২০ ফুট লম্বা। সেতুটি গ্রামের সঙ্গে পেরুর সংযোগ স্থাপন করেছে। সেতুর বিশেষত্ব হচ্ছে এটি প্রতি বছরই তৈরি করতে হয়।
গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে প্রতি বছর একটি নতুন সেতু তৈরি করেন। এই সেতুটি তৈরি করতে গ্রামবাসীদের তিন দিন সময় লাগে। একই সঙ্গে এই সেতু তৈরির পদ্ধতিও সম্পূর্ণ আলাদা। এই ঝুলন্ত সেতুর নাম কিউ ইশওয়াক, যা একটি নদীর উপর নির্মিত।
এই এলাকার একমাত্র সেতু যা নদী পারাপারে মানুষজন ব্যবহার করেন। জানা গিয়েছে এই সেতুটি ৫০০ বছর ধরে গ্রামকে পেরু্র সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এই সেতুটি ২২০ ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে। এটি ক্যানিয়নের খরস্রোতা নদীর উপর নির্মিত। এটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সেতু হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: < ভিন্ন বছরে যমজ সন্তান প্রসব, মহিলার কাহিনীতে চমকে উঠল তামাম বিশ্ব >
কুজকো গ্রামের এই সেতুটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি বিদেশি পর্যটক এটি দেখতে আসেন। গ্রামবাসীদের জীবন ও জীবিকা পর্যটনকে ঘিরেই। পেরু সরকারও এই অনন্য সেতুটিকে হেরিটেজ তকম দিয়েছে। ২০১৩ সালে, এই সেতুটিকে ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের’ তালিকায় স্থান পেয়েছে।