গুয়াহাটির ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার কাটল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ১০-২০ নয়, ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ সাঁতরে নদীর ওপারে একটি ছোট দ্বীপে পৌঁছায় একটি বিরাট রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এই সংক্রান্ত ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শেষ বার এই অঞ্চলে কবে বাঘের দেখা মিলেছিল তা মনে করতে পারছেন না কেউই, সবে সকালে গঙ্গাস্নান সেরে মন্দিরে পুজো দেবেন গঙ্গার ঘাটে তখন উপচে পড়া ভিড়। তার মাঝেই জলে বাঘের দেখা। কেউ কেউ রীতিমত দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তো কেউ আবার নিখুঁত সেলফিতে মগ্ন।
আসামের ওরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান থেকে বেরিয়ে পথভুলে গুয়াহাটির ব্রহ্মপুত্র নদীর মাঝে উমানন্দ মন্দিরে সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার কাটতে দেখা গেল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে। সাঁতার কেটে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে একটি ছোট দ্বীপে ওঠে সে। মঙ্গলবার সকালে নদীতে বাঘের সাঁতারের ভিডিও করেন সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ভক্তরা। বাঘ দেখা মাত্রই খবর দেওয়া হয় বন দফতর ও এনডিআরএফ জওয়ানদের। স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তারা সেখানে পৌঁছে বাঘটিকে ধরে ফেলে। পরে তাকে গুয়াহাটির একটি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
আরও পড়ুন: < ন্যানো বদলে হল হেলিকপ্টার, কাঠমিস্ত্রির বিরল প্রতিভায় মজে নেটপাড়া >
অনিল ভট্টাচার্য নামে এক পুরোহিত বলেন, সকালের পুজোর সময় বাঘের আগমনের খবর আমরা সকলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ব্রহ্মপুত্রের দক্ষিণ পাশে টেম্পল আইল্যান্ডের ওপারে শহরের রাজভবন এলাকার কাছে মর্নিং ওয়াকার এবং জেলেরা বাঘটিকে দেখেছিলেন। যে জায়গাটিতে বাঘটিকে দেখা গেছে একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হিসাবে সুপরিচিত।
পূর্ব কামরুপের ডিএফও রোহিণী বল্লভ সাইকিয়া বলেছেন, বাঘটি সম্ভবত ওরাং জাতীয় উদ্যান থেকে বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, 'আমরা ওরাং জাতীয় উদ্যানের কর্তাব্যাক্তিদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি কয়েকদিন আগে পার্ক থেকে দুই থেকে তিনটি বাঘ বেরিয়ে গিয়েছে। যেহেতু রয়্যাল বেঙ্গল টাইগাররা ভাল সাঁতারু, তাই তাদের মধ্যে একটি নদীতে সাঁতার কেটে গুয়াহাটিতে পৌঁছে থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে চিতাবাঘ বলে সন্দেহ করা হয়েছিল, কিন্তু পরে দেখা গেছে এটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।