ইচ্ছাশক্তি আর জেদ এই দুইয়ের জেরে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন অনেকেই। তেমনই এক কাহিনী ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঝাডুদারের মেয়ে থেকে ডাক্তারি পড়ুয়ার কাহিনী চমকে দেবে সকলকেই। ছোট থেকে ডাক্তার হওয়ার বড় সখ। আজ সেই স্বপ্নই সত্যি হতে চলেছে। চণ্ডীগড় শহরের সেক্টর ২৫-এর সরু রাস্তার পাশে ছোট ঘরে বাস প্রিয়ার। শৈশব থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রিয়া। তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার জেরে মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তার স্বপ্নকে সত্যি করার পথে প্রথম ধাপ ফেলেছেন তিনি।
বাবা সরকারি পলিক্লিনিকের ঝাড়ুদারের কাজ করেন। মেয়ে মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকার করে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (জিএমসিএইচ) সেক্টর-৩২-এ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয়েছেন । নবোদয় বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক পাস করে মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় কৃতকার্য হন তিনি। প্রিয়া জানান ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে তিনি শুরু করেন। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পালা।
বাবা হনুমান প্রসাদ মেয়ের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত। তিনি জানান, ছোট থেকে প্রায়ই আমার সঙ্গে মেয়ে পলিক্লিনিকে যেতেন এবং ডাক্তারদের দেখার পরই উচ্ছ্বসিত হয়ে মেয়ে জানতে চাইত, এঁরা কারা? তখন থেকেই তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে প্রিয়া। উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর NEET-এর জন্য কোচিং করতে চেয়েছিলেন প্রিয়া। কিন্তু ফি বেশি হওয়ার কারণে পুনেতে দক্ষিণা ফাউন্ডেশনে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন : < রেল কোচকে বদলে ফেলা হল রেস্তোরাঁয়! ঘরের কাছেই জিভে জল আনা খাবার খেতে যাচ্ছেন তো? >
প্রিয়া জানান, সেখানে তার ক্লাস শুরু হতো সকাল ৭টায় এবং শেষ হতো সন্ধ্যা ৫টায়। প্রিয়া আরও বলেন, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে সব সময় তিনি উৎসাহ পেয়েছেন। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষিকারা প্রিয়াকে সবসময় স্বপ্ন সফল করতে উৎসাহিত করতেন। মার্শাল আর্ট এবং বাস্কেটবলেও বেশ পারদর্শী তিনি। জিতেছেন বেশ কয়েকটি পুরষ্কারও। মেয়ের এই কৃতিত্বে বেজায় খুশি মা সরোজা দেবীও।