গ্রামের জরাজীর্ণ স্কুলের রিপোর্ট করে মিডিয়ার শিরোনামে এসেছেন, কাঠের সাহায্যে স্প্রাইটের ভাঙা বোতলটিকে মাইকের চেহারা দিয়ে স্কুলের বেহাল দশা তুলে ধরেছে সর্বসমক্ষে। আর সেই ভিডিও নজর কেড়েছে অভিনেতা সোনু সুদের। সরফরাজের পড়াশুনার যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে আবার সোশ্যাল মিডিয়ার কুর্ণিশ আদায় করে নিলেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
ঝড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় বাস সরফরাজের, কিছুদিন আগেই তার রিপোর্টিংয়ের ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি এতটাই ভাইরাল হয়েছিল যে ঝাড়খণ্ড সরকারের নজরে আসে ছোট ছেলেটি। সরফরাজের তুলে ধরা সেই ভিডিওতে স্কুলের দুর্দশার বাস্তব চিত্র উঠে আসতেই শিক্ষামন্ত্রী সরফরাজকে ডেকে বিদ্যালয়ের অবস্থার উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
সরফরাজের ভিডিওর প্রভাব এখনও অব্যাহত। আসলে সোনু সুদ স্কুলে করা রিপোর্টিং দেখে মুগ্ধ হয়ে ভাইরাল ছেলে সরফরাজকে সাহায্য করার জন্য টুইট করেছেন। এই টুইটে, সোনু সুদ সরফরাজকে তার রিপোর্টিংয়ের দক্ষতারও প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে তাকে পড়াশুনার সব রকমের সাহায্যের বার্তাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: < পায়ের জুতো খুলে ডেলিভারি বয়কে বেধড়ক মার, তরুণীর কাণ্ডে হুলস্থূল নেটদুনিয়ায় >
ভিডিও করে স্কুলের দুর্দশা দেখিয়েছিলেন সরফরাজ
আসলে, গোড্ডার মহাগামা মহকুমা এলাকার ভিখিয়াচকের বাসিন্দা সরফরাজের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওতে সাংবাদিকের স্টাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন সরফরাজ। তিনি বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন থেকে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক দুরাবস্থার কথাও জানান। শুধু তাই নয়, ভিডিওতে স্কুল শিক্ষকদের অবহেলার কথাও ফাঁস করেছেন সরফরাজ। তিনি তার ভিডিওতে বলেছিলেন যে শিক্ষকরা হাজিরা দেওয়ার পরে বাড়ি ফিরে যান।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন শিক্ষামন্ত্রী
সরফরাজের এই ভিডিওটি তাবড় সাংবাদিকসহ অনেকেই শেয়ার করেছেন। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রীও ভিডিও দেখে সরফরাজকে ফোন করে স্কুলের খোঁজখবর নেন। এরপর ব্যবস্থা নিয়ে তিনি স্কুলের শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্তও করেছিলেন, নতুন শিক্ষকদের স্কুলে নিয়োগ করা হয়।
সরফরাজ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, সাংবাদিক হতে চায়
সরফরাজ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। কয়েক বছর আগে সরফরাজের বাবা মারা যান, তার পরে সংসারের অবস্থাও শোচনীয় হয়ে পড়ে। এখন এমন পরিস্থিতিতে, অভিনেতা সোনু সুদের সহায়তায় সরফরাজ আরও ভাল শিক্ষা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু, সরফরাজ ভাল স্কুলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।