স্কুলের সামনে বৃষ্টির জমা জল। সেই জল যাতে পায়ে না লাগে তার জন্য ছাত্রদের একের পর এক চেয়ার এনে রাখতে নির্দেশ দেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। শিক্ষিকার নির্দেশ মেনে ছাত্ররা চেয়ার পরপর রেখে সেতু তৈরি করে দিদিমণিকে স্কুলের ভিতর প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেন। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। আর তা ভাইরাল হতেই শিক্ষিকার মন আচরণের জন্য তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
যোগীরাজ্যের এমন ঘটনা সামনে আসতেই ফের মুখ পুড়েছে উত্তরপ্রদেশের। কিছুদিন আগেই যোগীরাজ্যের এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকারে ক্লাসরুমে বসে ছাত্রকে দিয়ে হাত ম্যাসাজ করার ভিডিও ভাইরাল হয়। সেক্ষেত্রেও ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়। সম্প্রতি যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদের রাখা প্লাস্টিকের চেয়ারের উপর উঠে সেগুলিকে একে একে টপকে স্কুলে প্রবেশ করছেন এক শিক্ষিকা।
পায়েল মহিন্দ্রা নামে একজন এই ভিডিও টুইট করেন তারপরই তা দ্রুত ভাইরাল হয়। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে যে ঘটনাটি ঘটেছে মথুরার বলদেব গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম পল্লবী শ্রোতিয়া। জানা গিয়েছে ওই বিদ্যালয়ে মোট সাত জন শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্যে সকলেই বর্ষার জল ডিঙিয়েই স্কুলে প্রবেশ করেন। শুধুমাত্র পল্লবী ছাড়া। গত দেড় বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: <স্টেশনেই বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, ভিডিও সামনে আসতেই সাসপেন্ড পুলিশকর্মী>
যদিও তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার স্কিন এলার্জি থাকায় তিনি জল পেরিয়ে স্কুলে আসতে চাননি। তাই এমন ব্যবস্থা করার জন্য তিনি ছাত্রদের কাছে অনুরোধ জানান। যদিও তার এমন দাবি অবশ্য মানতে রাজি নন স্কুল শিক্ষা দফতর। এর আগে, মধ্যপ্রদেশের সিওনি জেলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের নজর কাড়ে সেখানে ছাদ থেকে শিক্ষকের গায়ে যাতে জল না পড়ে তার জন্য কয়েক জন ছাত্রকে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই ঘটনাও তোলপাড় ফেলেছিল নেটদুনিয়ায়।