বিরল প্রজাতির দু মুখো রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার হল এবার মহারাষ্ট্রের কল্যাণের গান্ধারে রোড এলাকা থেকে। সর্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানব দেহে জোড়া জমজ সন্তান যেমন অস্বভাবিকত্বের লক্ষণ, তেমনটাই এই দুমুখো সাপের ক্ষেত্রেও। বেশিদিন প্রকৃতিতে বাঁচতেও পারেনা এই দুই মুখ ওয়ালা সাপ। আপাতত, বনদফতরের পক্ষ থেকে এই সাপটিকে প্যারেলের হ্যাফকাইন ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, সাপটি ১১সেমি লম্বা। দুই মস্তকের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে প্রতিটি ২ সেমি করে। সাপটির শরীরের প্রস্থ ১ সেমি। প্রসঙ্গত, গত বছর কল্যাণের এই এলাকা থেকেই একই প্রজাতির রাসেল ভাইপার সাপ পাওয়া গিয়েছিল। দেশের যে চারটি সাপ সবথেকে বিষধর, তাদের মধ্যে অন্যতম এই রাসেল ভাইপার।
আরও পড়ুন
পশুপ্রেম একেই বলে! ৩০ টাকার ভুরিভোজের মুরগি এখন বিশ্বজিতের আত্মীয়
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ গান্ধারে রোডে রুতু রিভারসাইড এস্টেটে নিজের এপার্টমেন্টের বাইরে রাসেল ভাইপার সাপ দেখেই ডিম্পল শাহ স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলকে খবর দেন। এরপর ওয়ার রেসকিউ ফাউন্ডেশনের প্রেম আহের এবং নিলেশ নাভসারে সাপটিকে উদ্ধার করেন।
সেই সংস্থার প্রেসিডেন্ট যোগেশ কাম্বলে জানান, "রাসেল ভাইপারকে নিয়ে চারটে তথ্যচিত্র বানানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটিই কল্যাণের। জিনগত সমস্যার কারণে এরা বেশিদিন বাঁচে না। আগের সাপটিই মারা গিয়েছিল।" বর্তমানে রাসেল ভাইপার সাপটিকে কল্যাণ রেঞ্জ অফিসে রাখা হয়েছে।
দুমুখো সাপের ভিডিও শনিবার নিজের টুইটার একাউন্টে শেয়ার করেন আইএফএস আধিকারিক সুশান্ত নন্দা। তিনি সাপটির বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন, "রাসেল ভাইপার অন্যান্য বিষধরদের থেকেও কয়েকগুন বেশি ক্ষতিকারক। প্রথম কামড় সহ্য করলেও, তারপরেও মরণ কামড় দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই সাপের।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন