গরীব ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিতে গাছতলায় স্কুল পুলিশকর্তার, উদ্যোগকে কুর্ণিশ নেটদুনিয়ার!

পথশিশুদের পাশে এভাবে দাঁড়াতে পেরে খুশি পুলিশ কর্তা নিজেও।

পথশিশুদের পাশে এভাবে দাঁড়াতে পেরে খুশি পুলিশ কর্তা নিজেও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
"Uttar Pradesh, viral news, Cop starts his own school, underprivileged children

পথশিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নজির পুলিশ কর্তার। ছবি: এএনআই টুইট

মানবতার অনন্য নজির গড়লেন পুলিশ কর্তা। গবীর ছেলেমেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন। মন্দিরের শহর অযোধ্যার এক পুলিশ কর্মীর এমন কীর্তি এখন রীতিমত ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। তার এমন প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন লাখ মানুষ।

Advertisment

কারুর বাবা করেন ভিক্ষা। কারুর মা লোকের বাড়ি বাসন মাজার কাজ করেন। কোনমতে দুবেলা খাবারের জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয় পরিবার গুলোকে। এর মধ্যে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া সে এক স্বপ্ন। এমন সব অসহায় পরিবারের কাছে সাক্ষাৎ ঈশ্বর সাব-ইন্সপেক্টর রঞ্জিত যাদব। দিন কয়েক আগেই তার মাথায় আসে এক অভিনব আইডিয়া। আর সেটাকেই বাস্তবে পরিণত করতে বেশি সময় নেননি তিনি।

রাস্তার ধারে গাছের তলায় খোলেন এই সব পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়ের জন্য পাঠশালা। পুলিশ কাকুর এমন উদ্যোগে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। প্রতিদিন নিয়ম করেই পুলিশ কাকুর ক্লাস করতে আসেন এক পড়ুয়ার কথায়, “ আমরা আমাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে চাই এবং স্কুলে যেতে চাই।" এখানে স্যার খুব ভালভাবে ক্লাস নেন আমাদের বুঝতে খুব সুবিধা হয় আমরা কেউই স্যারের ক্লাস মিস করি না”।

আরও পড়ুন: <স্বামীর ঘরে ফিরতে নারাজ স্ত্রী, অভিমানে টাওয়ারে চড়লেন যুবক! ভিডিও ভাইরাল>

Advertisment

পড়ুয়াদের পাশে এভাবে দাঁড়াতে পেরে খুশি পুলিশ কর্তা নিজেও। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “ আমি আমার নিজের স্কুল শুরু করেছি এবং যখনই আমার ছুটি থাকে  এই সব পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েদের ক্লাস নিই। বেশ কয়েক মাস ধরে এই বাচ্চাদের পড়াচ্ছি।" "আমি দেখেছি পড়ুয়াদের  বাবা-মাকে ভিক্ষা করতে, কী কষ্ট করে দিন যাপন করেন তারা!  তাদের সঙ্গে কথা বলার পরে, আমি বুঝেছি যে অনেকেই তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করতে চায়,তাই তাদের পাশে থাকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।

স্কুলে দিনে দিনে বাড়ছে পড়ুয়ার সংখ্যা। এখন পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৫০। কেবল ক্লাস নেওয়াই নয় সেই সঙ্গে বই,খাতা, পেনও কিনে দেন পুলিশ কাকু। সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জিত যাদবের মহৎ চিন্তাধারা এবং তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সহকর্মী থেকে নেটিজেনরা।  মহামারী চলাকালীন শিশুরা অনেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাদের পড়াশুনা থেকে। এমন সময় পুলিশ কর্তার এই উদ্যোগে খুশি পড়ুয়া-অভিভাভাবকরাও।

police Education uttar pradesh street children