/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/wedding-viral.jpg)
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক বিয়ের ঘটনা। বরের কথা ভেবে নেট পাড়ার একাংশ করুণা দেখিয়েছে,আবার অনেকে এমনটাই হওয়া উচিত বলে মন্তব্যও করেছে। কনে পক্ষের কাছে পণের দাবি জানাতে ও নিজেদের দর বাড়াতে ব্যস্ত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের ধামপুর শহরের এক পরিবার। বিয়ের লগ্ন বয়ে গেলেও যথা সময়ে এসে পৌঁছায়নি বর ও তাঁর আত্মীয় স্বজন। পণ না পেলে মণ্ডপে বর ঢুকবে না এমনও হুঁশিয়ারি দেয় তারা। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এই ঘটনায় বেজায় চটে যান পাত্রী।
বিয়ে করতে কনের বাড়ি পৌঁছনোর কথা ছিল দুপুরবেলা। পণ চাইতে এত ব্যস্ত হয়ে পরে বিকেল সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে যায়। কিন্তু কনে পক্ষ পণ দেওয়ার কোনো প্রতিশ্রুতি দেয় না। রাত বাড়তে, আর কোনো উপায় না দেখে বরপক্ষ যখন কনের বাড়ি পৌঁছায় তখন তাঁরা দেখেন কনে মাথা ভরা সিন্দুর, গলা মঙ্গলসুত্র, সেকি বিয়ে হয়ে গেছে কনের! পাত্র কে?
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক চুলের বৃদ্ধি, হনুমান রুপে পুজো ছয় বছরের শিশুকে!
বরের জন্য অপেক্ষা না করে কনে বিয়ে করছেন এলাকারই এক যুবককে। এই দেখে তাণ্ডব করতে শুরু করে বরপক্ষ। পরিস্থতি সামাল দিতে অবশেষে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাসখানেক আগে একটি গণবিবাহ অনুষ্ঠানে ওই পাত্রীকে বিয়ে করেছিলেন যুবক। কিন্তু এরপর শ্বশুরবাড়ি যাননি ওই পাত্রী। পাত্র পক্ষের দাবি ছিল ঘটা করে অনুষ্ঠান করলে তবেই মেয়েকে ঘরে তুলবেন। তাই মেনে নিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন মেয়ের বাবা। কিন্তু এরপর পণের জন্য জোর দিতে থাকে। কিন্তু সে পণের দাবি মেটানোর সামর্থ্য মেয়ের বাবার ছিল না। অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ে।
আরও পড়ুন:বাঙালি বিয়েতে কনেকে পিঁড়ি ধরে সাত পাক ঘোরালো দিদি বোনেরা, দেখুন ভিডিও
এদিকে বরযাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদেরকে ঘরে বন্দি করে রাখে কনের বাড়ির লোকজন। পুলিশ এসে সামাল দেয় পরিস্থিতি। সময়ানুবর্তিতার দাম ও পণ চাওয়ার অপরাধ হাড়ে হাড়ে টের পেলেন উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের ধামপুর শহরের ওই যুবক। পণ তো দূর অস্ত, বউ ছাড়াই, খালি ফিরে যেতে হয় তাঁকে।