Advertisment

স্বামীর 'বায়নায়' অতিষ্ঠ মহিলার চিঠি অফিসের বসকে, হাসির রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়

‘মহিলা স্কোয়াডের’ এই অভিযোগকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকা ‘পুরুষ বাহিনী’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

‘মহিলা স্কোয়াডের’ এই অভিযোগকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকা ‘পুরুষ বাহিনী’।

করোনা অতিমারির কারণে প্রায় ১৮ মাস ধরে বন্ধ স্কুল, কলেজ, অফিস-কাছারি। বাড়ি থেকেই চলছে অফিসের কাজ। এর মাঝেই স্বামীর ‘বায়নায়’ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠা এক স্ত্রীর, তাঁর স্বামীর অফিস-বসকে লেখা এক চিঠি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই চিঠির কপি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা। আর সেটি ভাইরাল হতেই হাসির রোল উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। হর্ষ গোয়েঙ্কা এই চিঠির কপি আপলোড করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “জানিনা এই চিঠির কী উত্তর দেওয়া উচিত”! এমন কী লেখা রয়েছে সেই চিঠিতে?

Advertisment

স্বামীর ‘ফাই-ফরমাশ’ খেটে রীতিমতো হাফিয়ে উঠেছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি চিঠির শুরুতে নিজের পরিচয় দিতে ভোলেননি। লিখেছেন, “আমি আপনার অফিসের কর্মী মনোজের স্ত্রী, এটা আমার আপনার কাছে এক করুন আর্তি, আপনি মনোজকে অফিসে বসে কাজ করার অনুমতি দিন”। কেন তিনি এমন কথা বলছেন? সে প্রসঙ্গে তিনি চিঠিতে তিনি লিখেছেন “মনোজের করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে যতদিন মনোজ কাজ করছেন, আমি হাফিয়ে উঠেছি ওর বায়না মেটাতে মেটাতে”। গভীর আক্ষেপের সঙ্গে তিনি লিখেছেন, “দিনে ১০ বার কফি করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে উঠছি, সঙ্গে গোটা বাড়িটাকে মেস বানিয়ে ফেলেছে সে মাত্র এই কয়েক মাসের মধ্যেই, চারিদিকে সব এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখে দেয় মনোজ”।

তিনি আরও লিখেছেন, "সব সময় খাই খাই করে সে! ওর বায়নাতে আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত।" তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, “কাজ করতে করতে অথবা অফিসের কল রিসিভ করার সময় প্রায় আমি তাঁকে দেখেছি ঘুমিয়ে পড়তে”।

চিঠির শেষে তিনি লেখেন, “আমার দুটি সন্তান রয়েছে, তাদেরকেও আমাকে দেখভাল করতে হয়, এর সঙ্গে স্বামীর এই বায়নায় আমার প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার জো! আপনি আমার অনুরোধটি দয়া করে বিবেচনা করবেন”।

আরও পড়ুন: জন্মদিনে মোবাইল হাতে পেয়ে বিশেষ ভাবে সক্ষম কিশোরের উচ্ছ্বাস, চোখে জল নেটিজেনদের

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই চিঠি ভাইরাল হতেই অনেক মহিলাই তাঁর এই অসহায় অবস্থায় তাঁর পাশে এগিয়ে এসেছেন। এবং কমেন্টে জানিয়েছেন যে, তাঁরাও সকলে একই রকম পরিস্থিতির স্বীকার। এদিকে ‘মহিলা স্কোয়াডের’ এই অভিযোগকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকা ‘পুরুষ বাহিনী’। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, বাড়িতে থেকে কাজ করতে করতে তাঁদের স্ত্রী’দের আবদার মেটাতেই অর্ধেকের বেশি সময় কেটে যায়। অনেকে আবার জানিয়েছেন, স্ত্রী’র আবদারে অফিসের কাজ চলাকালীন সময়ে রান্নার কাজেও হাত লাগাতে হচ্ছে অনেক পুরুষ বাহিনীর সদস্যকে। এদিকে এই চিঠি ঘিরে মজার মিমস এবং রসিকতার সঙ্গে হাসির রোল উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।   

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Trending News
Advertisment