করোনা কালে ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সামনের সারিতে থেকে তাদের লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই আজও জারি রয়েছে। এবার তাঁদের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে গণেশপুজোর প্যান্ডেল থিমে তুলে ধরা হয়েছে, তাঁদের এই সকল অবদানকে। আহমেদাবাদের ভেজালপুরে গণেশ যুবক মণ্ডল এই বছর তাদের প্যান্ডেলে করোনা অতিমারির থিমকে ফুটিয়ে তুলেছে। যা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একই সঙ্গে করোনা থেকে বাঁচার জন্য টিকার অপরিহার্যতার গুরুত্বকেও তাদের এবারের থিমে তুলে ধরা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পূজা প্যান্ডেলের যে ছবি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, গণেশকে ডাক্তারের ভুমিকায় তুলে ধরা হয়েছে। সাদা পিপিই কিট, মুখে মাক্স, গলায় স্টেথোস্কোপ নিয়ে মণ্ডপ অলঙ্কার করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ‘সিদ্ধিদাতা’। আয়োজকরা জানিয়েছেন, তাঁদের এবারের এই পুজোর মাধ্যমে কোভিড কালে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের বিশেষ সম্মান জানাতে এবং টিকার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরতেই তাঁদের এই বিশেষ ভাবনা। একই সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত গুজব এবং ভ্রান্ত ধারণার বিরুদ্ধে সচেতনতা মুলক প্রচারও চালানো হয় তাদের এই পুজোমণ্ডপ থেকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুজো কমিটির অন্যতম কার্যকতা প্রশান্ত লাগাদ জানিয়েছেন, “এবারের গণেশ মূর্তিটি আয়োজকদের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে”। কেন তাদের এবারের এই অভিনব উদ্যোগ সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে লাগাদ বলে্ন, “আমরা সবসময়ই আমাদের পুজো প্যান্ডেলের ভাবনায় সমাজের নানাবিধ সমস্যাকে তুলে ধরার চেষ্টা করে থাকি। এটা আমাদের কাছে নতুন কোনও বিষয় নয়”।
আরও পড়ুন: করোনায় বাড়ে দূরত্ব, ৬ মাস পর দাদু-নাতির মিলনের ভিডিও চোখে জল আনবে
তিনি আরও জানিয়েছেন, "২০১৯ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে সম্মান জানতে আমাদের পুজোর থিম করা হয়েছিল ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’"। তিনি আরও বলেন, “উৎসবের মরশুমে সকলে যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন সেই ব্যাপারে বিশেষ সচেতনতামূলক প্রচার আমাদের তরফে বার বার করা হয়েছে এবং তা জারি থাকবে”।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, কোভিড প্রোটোকলের কথা মাথায় রেখে তাঁরা উৎসবের সব আয়োজন করেছে। সর্বসাধারণের দাবি মেনে গুজরাট সরকার বুধবার রাজ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ডিস্ক জকি (ডিজে) সঙ্গীত ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
এদিকে এবিষয়ে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যে সকল পুজো প্যান্ডেল এবারের কোভিড প্রোটোকল মেনে তাদের পুজো করবেন তাদেরকেই একমাত্র ডিজে’র অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সরকারের তরফে বিশেষ এক নির্দেশ উৎসবের মরশুমে জারি করা হয়েছে। তাতে বলে হয়েছে, "খোলা স্থানে ৪০০-এর বেশি লোক একসঙ্গে জমায়েতের উপর জারি রয়েছে বিধিনিষেধ”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন