মাথায় ছাতা ধরে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন তিনি। আর তার ছাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার বেশ কয়েকটি সারমেয়। এই ছবি কলকাতা পুলিশের তরফে শেয়ার করা হয়েছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে।
গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাহত জনজীবন। বিগত ১৪ বছরে, সেপ্টেম্বরে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে কলকাতায়। আগামী কয়েকদিন রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা। রাস্তাঘাট জলমগ্ন। যানচলাচল বিঘ্নিত। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক ছবি। দেখা যাচ্ছে ছাতা হাতে রাস্তার মোড়ে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ।
Advertisment
মাথায় ছাতা ধরে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন তিনি। আর তার ছাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছে রাস্তার বেশ কয়েকটি সারমেয়। এই ছবি কলকাতা পুলিশের তরফে শেয়ার করা হয়েছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে। তার তা শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়। ভাইরাল হতেই এই ছবি দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। নিরীহ প্রাণীদের প্রতি তাঁর সমবেদনার জন্য তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
ছবিতে দেখা যাছে ছাতা হাতে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন এক পুলিশকর্মী। তাঁরই ছাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছে বেশ কতগুলি রাস্তার সারমেয়। এই ছবি কলকাতা পুলিশের তরফে শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘যদি হও সুজন’।
এই ছবি ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ফটোগ্রাফার সায়ন চক্রবর্তীর তোলা এই ছবি নেটদুনিয়ায় সাড়া ফেলেছে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে যে পুলিশকর্মীকে দেখা যাচ্ছে তিনি কলকাতা পুলিশের পূর্ব ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল তরুণ কুমার মণ্ডল, ডিউটি করছিলেন, পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং-এ।
প্রবল বৃষ্টিতে কর্তব্যে কোন অবহেলা না করেই ছাতা হাতে নিয়ে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন তিনি। এর মধ্যেই বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য রাস্তার বেশ কয়েকটি সারমেয় আশ্রয় নিয়েছে তারই ছাতার নিচে। তিনি একই সঙ্গে নিজের মাথায় ছাতা ধরার পাশাপাশি সারমেয় গুলিকেও প্রবল বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচিয়ে নিরীহ প্রাণীদের প্রতি তার সমবেদনার পরিচয় দিয়েছেন।
এদিকে ভাইরাল হওয়া এই ছবি দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে এই ছবি এবং ৪০ হাজারের কাছাকাছি লাইক পড়েছে। অনেকেই কমেন্টে এই পুলিশ কর্মীর সারমেয়দের প্রতি তাঁর ভালবাসার প্রশংসা করেছেন। নিরীহ প্রাণীদের প্রতি তাঁর সমবেদনার জন্য তাঁকে স্যালুট জানিয়েছে নেটদুনিয়া। কেউ কেউ আবার তাদের কমেন্টে লিখেছেন, ‘এভাবে সম্পর্ক ভাগ করে নিলে ভালবাসা বাড়ে’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন