New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/17th-Century-Glass.jpg)
হীরে, পান্না-খচিত এই চশমার নকশা ‘অশুভ শক্তিকে রুখে দেওয়ার’ উপযোগী বলে বিশ্বাস।
চশমার দাম শুনলে চোখ কপালে উঠে যাবে!
হীরে, পান্না-খচিত এই চশমার নকশা ‘অশুভ শক্তিকে রুখে দেওয়ার’ উপযোগী বলে বিশ্বাস।
চশমার দাম প্রায় ২৫ কোটি টাকা! হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, এই চশমা আমার আপনার মতো সাধারণ ব্যবহারের কোন চশমা নয়। এই চশমায় বসানো রয়েছে হীরে এবং পান্না। মোঘল আমলের দুর্মূল্য দুটি চশমা নিলামে উঠতে চলে্ছে আগামী অক্টোবর মাসে। আর চশমার দাম এবং চশমার নিখুত শিল্পকর্ম অবাক করেছে নেটিজেনদের। চশমায় কাচের বদলে ব্যবহার করা হয়েছে দামি রত্ন। ফ্রেম জুড়ে রয়েছে হীরে এবং পান্না-সহ দামী পাথরের দারুণ শিল্পকর্ম।
সপ্তদশ শতাব্দীর ওই চশমায় সাধারণ কাচের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে হীরে এবং পান্না। দু’টির ফ্রেমেই বসানো আছে ছোট ছোট হীরে। বহুমূল্য রত্নখচিত এই চশমাগুলি মোঘল আমলের বলে দাবি করেছে নিলামকারী সংস্থা।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, নিলামে ওই চশমা দু’টির দাম উঠতে পারে ৩৫ লক্ষ ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা। যা দেখে শুনে ভিরমি খাচ্ছেন নেটদুনিয়ার আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষ।
‘সদবি’ নামের নিলাম সংস্থা এর আয়োজক। তার আগে নিউইয়র্ক, লন্ডন, হংকংয়ে চশমাগুলি প্রদর্শন করা হবে। ওই সংস্থার চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড গিবস জানিয়েছেন ওই চশমাগুলি মোঘল আমলের। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘যত দূর আমি জানি, এগুলির মতো চশমা আর নেই।’’ তিনি আরও বলেন, “প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই চশমাগুলি, সেই সময় ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রধান হীরে উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে পরিচিত ছিল”।
আরও পড়ুন: নয়ের দশকের নস্ট্যালজিয়া ফিরিয়ে দিল Cadbury, বিজ্ঞাপনের রিমেকে মজে নেটদুনিয়া
স্থাপত্য এবং ভাস্কর্যে সেই সময়ের শিল্পীদের হাতের কাজ মুগ্ধ করেছিল তামাম বিশ্ববাসীকে। হীরে, পান্না-খচিত এই চশমার নকশা ‘অশুভ শক্তিকে রুখে দেওয়ার’উপযোগী বলে বিশ্বাস। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, গোলকুণ্ডায় ২০০ ক্যারাটের হীরে এবং কলম্বিয়ান পান্না দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ওই চশমাগুলি। ভারতীয় এই স্থাপত্য ইউরোপীয় রত্নকুবেরদের এই চশমাগুলির প্রতি এক আলাদা আকর্ষণ সৃষ্টি করেছিল। গিবসের মতে, “চোখকে আরাম দিতে সবুজ পান্না এই চশমায় ব্যবহার করা হয়েছিল যা সেই সময়ে মোঘল সম্রাটের খুবই পছন্দের ছিল”।
‘সদবি’র কথায়, “মুমতাজের মৃত্যুর পর কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত শাহজাহান তার চোখ দুটিকে আরাম দিতে পান্নার ব্যবহার করেছিলেন”। এদিকে এই খবরে রাতের ঘুম উড়ে গেছে নেটিজেনদের। মোঘল আমলের চশমার অপরূপ শিল্পকলা এবং এটির নিলাম মুল্য এই দুই’ই অবাক করেছে তাদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন