Advertisment

স্মৃতির টানে ট্রাকচালকদের সম্মান মীরাবাই চানুর! কুর্নিশ জানালেন নেটিজেনরা

ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে যেতে ট্রাকচালকরাই ছিলেন ভরসা মণিপুরী ক্রীড়াবিদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে যেতে ট্রাকচালকরাই ছিলেন ভরসা মণিপুরী ক্রীড়াবিদের।

এবারে টোকিও অলিম্পিকে ভারতের হয়ে প্রথম রৌপ্য পদক যেতেন মীরাবাই চানু। তার এই সাফল্যের রাস্তা খুব একটা সহজ ছিল না। ভারোত্তোলনে রুপোজয়ী তরুন এই ক্রীড়াবিদকে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে তার রোজকার ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে যাতায়াতের জন্য অসংখ্যবার লিফট নিতে হয়েছিল। তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ইম্ফলে তাঁর প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি ছিল। পদক জয়ের পর সেই আনন্দের মুহূর্ত তিনি ভাগ করে নেন সেই সব ট্রাকচালকদের সঙ্গে যারা অতীতের সেই কঠিন সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন। সম্প্রতি, তিনি ট্রাকচালকদের সম্বর্ধনা দিতে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন। যেখানে দেড়শোরও বেশি ট্রাকচালকদের তিনি সম্বর্ধিত করেন। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেইসব ছবি এবং ভিডিও। যা অগুনতি মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়া সেই ছবি এবং ভিডিও কয়েক লক্ষ মানুষ দেখেছেন।

Advertisment

আরও পড়ুন ‘এ স্বাদের ভাগ হবে না!’, দেশে ফিরেই মন্ত্রীর সঙ্গে পিৎজায় কামড় চানুর

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ট্রাকচালক ‘বন্ধুদের’ জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন অলিম্পিকে রৌপ্য পদকজয়ী মীরাবাই চানু এবং তাঁর কৃতিত্বের জন্য তাদের যে অবদান, তার জন্য তিনি তাঁদের সম্মানিত করেছিলেন। ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের যে খরচ তা নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মীরাবাই চানুর পক্ষে বহন করা সম্ভবপর ছিল না। অগ্যতা তাঁকে নির্ভর করতে হত সেই রাস্তায় যাতায়াত করা ট্রাকচালকদের ওপরই। ২৬ বছর বয়সী চানু অতীতের সেই সব দিনে যে সকল ট্রাকচালক বন্ধু তাঁকে সাহায্য করেছিলেন তাদের সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন যেখানে প্রায় ১৫০ জন ট্রাকচালক হাজির ছিলেন। তিনি সকলের সঙ্গে পদক জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেন এবং অনুষ্ঠানে আসা সকলকে শার্ট এবং উত্তরীয় দিয়ে সম্মান জানান। সেই বিশেষ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

আরও পড়ুন টোকিওতে গর্বের সিংহাসনে বসিয়েছেন ভারতকে, চানুর জন্য বিরাট ঘোষণা Dominos-এর

অলিম্পিকে পদক জয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ভাই জানান যে, “ট্রেনিং অ্যাকাডেমি তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে ছিল, তাঁদের কাছে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে ট্রাকগুলি ছিল তাঁদের প্রধান ভরসা”। তিনি আরও বলেন, “খুব ভোরে বাজারে আমরা চলে আসতাম যে ট্রাক ওই রাস্তায় যেত তাতেই চেপে পড়তাম”। এভাবে ট্রেনিং নিয়েছিলেন আজকের পদকজয়ী মেয়েটি এই নিয়ে তাঁর কোনরকম অভিযোগ ছিল না বলেন তাঁর ভাই। চানু এবারের অলিম্পিকে মহিলাদের ৪৯ কেজি ওয়েটলিফটিং বিভাগে রৌপ্য পদক পান। যা দেশকে সম্মানিত করে এবং ২১ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটায়। ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন কর্ণম মালেশ্বরী। তারপর ভারোত্তোলনে চানুর এই পদক অলিম্পিকে ভারতকে এক অন্য সম্মান প্রদান করে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Mirabai Chanu
Advertisment