মাস্টার মারা গিয়েছেন। তাই তার শেষকৃত্যে হাজির হল হাতিও। তা দেখে চোখের জল বাঁধ মানল না। আশ্চর্যজনক এমন কান্ডই ঘটেছে কেরালায়। কেরালার কোট্টায়াম জেলায় মাহুতের মৃত্যুর পরে তাঁর বাড়িতে শোকপ্রকাশে হাজির হল হাতি। সেই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন ভারতীয় বন দফতরের আধিকারিক পরভিন কাসোয়ান। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল।
ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন দামোদরণ নায়ার ওরফে ওমানাচেত্তন। তারপরেই তাঁর শেষকৃত্যে সম্মান জানাতে হাজির পালাট্টু ব্রাহমাদাতান। দীর্ঘ শুড় দিয়ে সেই পোষা হাতি ওমানাচেত্তনের মৃতদেহ স্পর্শ করে থাকলেন দীর্ঘক্ষণ। যা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন গ্রামবাসী সহ আত্মীয় পরিজনরা। সেই হাতিকে জড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায় মৃত মাহুতের সন্তানকেও।
আরো পড়ুন: হিমাচলে প্রথমবার ১৩ ফুটের কিং কোবরা! ভয়ানক ভিডিওয় শিউরে উঠল সবাই, দেখুন
তার কিছুক্ষণ পরেই হাতিটি শুঁড় নামিয়ে চলে যান শেষ কৃত্যের শোক বাসর থেকে। এমন মর্মান্তিক আবেগী ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে দেয়। নেটিজেনরা হাতির সেই আবেগে ভেসে যান। কমেন্ট সেকশন ভরিয়ে তোলেন মন্তব্যে।
সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, দামোদরণ ৬০ বছর ধরেই মাহুতের পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। আর হাতি ব্রাহমাদাঠানের মাহুত ছিলেন গত ২৫ বছর ধরেই। দুজনে একাধিক উৎসবে যোগ দিয়েছেন।
কোট্টায়ামের পুত্তুপল্লির এক বাসিন্দা ছিলেন ব্রাহমাদাঠানের প্রথম মালিক। তারপর সেই হাতিকে কিনে নেন রাজেশ এবং মনোজ। এরপরে দামোদরণ আর পালাট্টুর সাক্ষাৎ হয় ২৫ বছর আগে। সেই হাতির মালিক রাজেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "দামোদরণের শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর আগে প্রিয় হাতিকে একবার দেখার। এদিন শেষকৃত্যে সেই ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছে।" রাজেশ জানিয়েছেন, প্রিয় হাতিকে পোষ্য নয়, নিজের সন্তানের মর্যাদা দিতেন দামোদরণ। হাতিটিও তাঁর পরিবারের এক সদস্য হয়ে উঠেছিল। মাহুতের সঙ্গে হাতির বিশেষ যোগসূত্র ছিল। দামোদরণ হাতিদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে প্রসিদ্ধ স্থানীয় এলাকায়। জানিয়েছেন রাজেশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন