সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর আকর্ষণীয় এবং সৃজনশীল বিষয়বস্তু দেখা যায় এবং তা ক্রমশই ভাইরাল হচ্ছে নেটদুনিয়ায়। কিছু কিছু কনটেন্ট এতটাই আশ্চর্যজনক এবং আকর্ষণীয় যার কারণে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ধরণের কনটেন্ট। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিয়ের কার্ড খুব দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। যার সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তির মাত্রা দেখে সকলেই স্তম্ভিত।
Advertisment
অতীতে, পেটিএম থেকে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম প্যাটার্নে, অনেক 'আশ্চর্যজনক' বিয়ের কার্ড ভাইরাল হতে দেখা গেছে। সম্প্রতি, একটি বিয়ের কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হতে দেখা গেছে, যেটি মুলত 'শেয়ার মার্কেটের' থিমে তৈরি করা হয়েছে। এই বিয়ের কার্ডটি মহারাষ্ট্রের এক ডাক্তারের বিয়ের আমন্ত্রণপত্র। যেটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশই ভাইরাল হচ্ছে।
বিয়ের কার্ড দেখে মনে হচ্ছে চিকিৎসক নিজে শেয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেশ ওয়াকিবহল। শেয়ার মার্কেটে মুগ্ধ হয়ে তিনি আশ্চর্যজনকভাবে তার বিয়ের কার্ড ডিজাইন করেছেন। শেয়ারবাজারের পরিচিত নাম হর্ষদ মেহতাকে 'ঈশ্বরের' মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আসলে, কার্ডের শুরুতে ঈশ্বরের নামের পরিবর্তে ঝুনঝুনওয়ালা, ওয়ারেন বাফেট এবং হর্ষদ মেহতার নাম লেখা হয়েছে।
পাশাপাশি কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতার সর্বোত্তম ব্যবহার করা হয়েছে কার্ডটিতে। কার্ডে বর ও কনে উভয়েকেই প্রতিষ্ঠানের নাম বলা হয়েছে এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের বিনিয়োগকারী হিসেবে বলা হয়েছে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের কার্ড দ্রুত সবার নজর কাড়ছে।
বর এবং কনে দু’জনেই পেশায় চিকিৎসক। নামের পাশে লেখা লিমিটেড। বিয়ের অনুষ্ঠানকে কার্ডে লেখা হয়েছে ‘লিস্টিং সেরিমনি’। বন্ধু এবং আত্মীয়দের ‘রিটেল ইনভেস্টর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সঙ্গীতের অনুষ্ঠান কার্ডে হয়ে গিয়েছে ‘রিঙ্গিং বেল’। রিসেপশন পার্টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্টারিম ডিভিডেন্ড পেআউট’। সাতপাক ঘোরাকে লেখা হয়েছে ‘লিস্টিং সেরিমনি’। আর এই ‘স্টক এক্সচেঞ্জ’ অর্থাৎ বিয়ের ভেন্যু হবে গুলবর্গার সাকাসার গার্ডেনে।