বাঘের মুখ থেকে দুধের সন্তানকে ফিরিয়ে আনলেন মা। একজন মা তার সন্তানের জন্য কত বড় ঝুঁকি নিতে পারেন তার জলজ্যান্ত উদাহরণ মধ্যপ্রদেশের এক মহিলা। বাঘের মুখ থেকে নিজের দুধের সন্তানকে উদ্ধার করে সংবাদ মাধ্যমের লাইমলাইটে উঠে এসেছেন এই মহিলা।
উমারিয়া জেলার এক মহিলা তার ১৫ মাসের শিশুকে বাঁচাতে বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে নামেন। মায়ের শক্তির কাছে হার মানতে বাধ্য হয় ভয়ঙ্কর বাঘ। যদিও এই ঘটনার গুরুতর আহত হয়েছে শিশুটি । তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানান হয়েছে আঘাত থাকলেও শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল।
উমারিয়া জেলার বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের রোহানিয়া গ্রামেই থাকেন বছর ২৫-এর মহিলা। জানা গিয়েছে খেলার সময় হঠাৎ করেই একটি বাঘ পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিশুর ওপর। তার টুঁটি টিপে ধরে। দম বন্ধ হয়ে আসে শিশুটির। এই ঘটনা দেখেই বাঘের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই মহিলা। শিশুকে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। বাঘের মুখ থেকে শিশুকে উদ্ধারের জন্য রীতিমত লড়াই চলে কিছুক্ষণ। এমন সময় মহিলার চিৎকারে কয়েকজন গ্রামবাসী সেখানে পৌঁছান। গ্রামবাসী বাঘটিকে ধাওয়া করলে সে শিশুটিকে ফেলে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: < ঘুমের মাঝেই কিশোরীর কানে ঢুকল আস্ত সাপ, কী হল তারপর….! শিউরে ওঠার মত ভিডিও ভাইরাল >
মহিলার স্বামী ভোলা প্রসাদ জানান, তার স্ত্রীর কোমর, বাহু ও পিঠে এবং ছেলের মাথায় ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বনরক্ষী রাম সিং বলেছেন যে মহিলা ও তার ছেলেকে অবিলম্বে মনপুরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দেওয়া হয়। তারপরে উমারিয়ার জেলা হাসপাতালে মা ও সন্তানকে ভর্তি করা হয়েছে।
রাম সিং বলেন, বন বিভাগের একটি দল বাঘটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। উমারিয়া জেলা শাসক সঞ্জীব শ্রীবাস্তব জেলা হাসপাতালে গিয়ে মহিলা ও তার ছেলের সঙ্গে দেখা করেন। দুজনকেই চিকিৎসার জন্য জবলপুরের একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। জেলা শাসক বলেন, যে বনাঞ্চলে বসবাসকারী গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হবে। পাশাপাশি তিনি আধিকারিকদের দ্রুত বাঘটিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন।