Advertisment

কমোডে বসতেই হিসহিস, মাঝরাতে হুলুস্থুল কাণ্ড টয়লেটে

সাপ-ধরিয়েদের বক্তব্য, স্টেওয়ার্ট একেবারেই সঠিক আচরণ করেছেন। অহেতুক আতঙ্কে না ভুগে তিনি তাদের খবর দিয়ে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে মাঝরাতে যেতে হয়েছিল টয়লেটে। কমোডে বসতেই বুঝতে পারলেন, তিনি ছাড়াও আরো একজন স্বমহিমায় বিরাজমান। তারপরেই বোঝা গেল আসল ঘটনা।

Advertisment

আতঁকে ওঠার মতোই এমন ঘটনা জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো প্রদেশের ফোর্ট কলিন্স এর বাসিন্দা মিরান্দা স্টেইয়ার্ট। বুধবার রাতে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রীতিমত শিউরে উঠছেন তিনি।

আরও পড়ুন

রাজস্থান রয়্যালসের মাস্টার মাইন্ড করোনা আক্রান্ত, আইপিএল শুরুর আগেই ধাক্কা

স্টেইয়ার্ট জানালেন নিজের ভার্সিটি এপার্টমেন্টে টয়লেট ব্যবহার করার সময়ে বুঝতে পারেন কমোডের মধ্যে থেকে সাপ ক্রমশ উপরে উঠে আসছে। ফক্স নিউজকে তিনি জানালেন, "কমোডে ফ্লাশ দেওয়ার পর জল মোটেই নিচে নামছিল না। আমি ঝুঁকে বিষয়টা দেখতে গিয়েছিলাম।।সেখানেই দেখি একটা সাপ ক্রমশ উপরে কুন্ডলি পাকিয়ে উঠে আসছে। প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।"

এরপরেই তিনি এপার্টমেন্টের কর্মীদের ডেকে সাপটিকে বিদায় করেন। নিজের ফেসবুকে তিন ফুট লম্বা সাপের ছবি সমেত সেই পোস্ট শেয়ার করে তিনি লেখেন, "জীবনে কখনও এত ভয় পাইনি।"

এপার্টমেন্টের নিরাপত্তা কর্মী ওয়েসলি স্যানফোর্ড জানান, সাপটিকে বাগে আনতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লেগেছিল। কমোডের মধ্যে কুন্ডলি পাকিয়ে বসেছিল সাপটি। তাই সেটিকে আয়ত্তে আনার জন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয় তাদের।

স্টেইয়ার্ট জানান, এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের অন্য কোনো বাসিন্দা সম্ভবত এই সাপটির মালিক। তাদেরই কমোডের মাধ্যমে সাপটি পৌঁছায় পড়শি র কমোডে।

সাপটি বিষহীন হওয়ায় স্ট্যানফোর্ড আপাতত সাপটিকে নিজের ডেরায় পুষছেন। নাম দেওয়া হয়েছে 'বুটস'। স্যানফোর্ড পরে জানান, "আমি সাপটিকে বাড়ি নিয়ে আসায় আমার স্ত্রীও খুশি হয়েছেন। আমরা সাপটিকে নাম দিয়েছি বুটস। ও-ও আমার মত নিরাপত্তা দেওয়ার কাজ করে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

viral news
Advertisment