Malda Shootout Updates: বৈষ্ণবনগরে বেআইনি মদের ঠেকে গুলি করে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র। মঙ্গলবার রাতে শুট আউটের ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামলাকারী নিমাই ঘোষ এবং পাণ্ডব ঘোষকে একটি ডেরা থেকে গ্রেপ্তার করে । এই ঘটনায় আরো চারজনের নাম জানতে পেরেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে গুলি কাণ্ডে আরেকজন আহত নিরঞ্জন দাসকে মালদা মেডিকেল কলেজ থেকে কলকাতা রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম নিমাই ঘোষ ও পান্ডব ঘোষ। মৃতের নাম প্রদীপ প্রামানিক (৫০) প্রদীপ এবং নিরঞ্জন এলাকার অবৈধ মদ ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে প্রদীপের বাড়িতে মদের ঠেক বসেছিল। নিরঞ্জন এবং প্রতীক দুইজনেই একসাথে ছিল। সেই সময় সেখানে আসে নিমাই ঘোষ সহ আরো বেশ কয়েকজন ধারে মত চাই। এরপরই মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা বাঁধে। সেখানে নিমাই ঘোষ তার দলবল গুলি চালায়। এরপর ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
গুলির আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। সুযোগ বুঝে অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে।সেখান থেকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসলে প্রদীপ কর্মকারকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।মাঝরাতে আরেক গুলিবৃদ্ধকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক,অম্লান ভাদুরি বলেন,গত এক মাস ধরে মালদা জেলায় এই নিয়ে তিনটি শুট আউট ও একাধিক খুনের ঘটনা ঘটলো। শাসক দলের প্রচ্ছন্ন মদতে বাইরে থেকে অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে।
পাল্টা জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন,এই ঘটনার সাথে তৃণমূল কোনভাবেই জড়িত নয়। যারা এই কাজ করেছে প্রত্যকে কুখ্যাত দুষ্কৃতি। বিজেপির কাজ শুধু অভিযোগ করা।অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে ভিন রাজ্য থেকে।সেগুলি বেশিরভাগই বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে আসছে।প্রত্যেকটা ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
জেলা পুলিশ প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত নিমাই ঘোষ ও পান্ডব ঘোষ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি আগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তলাশি চলছে।