এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি নগদ। শোরগোল পড়েছে বাংলায়। সোচ্চার বিজেপি সহ বিরোদী সব দলই। পার্থর দায় এড়াতে মরিয়া তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এসসি দুর্নীতিকে কেবল বাংলার সীমানায় আটকে না রেখে তা দেশব্যাপী ছড়াতে চায় গেরুয়া দল। মমতা সরকারকে বিপদে ফেলতে এসএসসি দুর্নীতিকেই হাতিয়ার করতে মরিয়া বিজেপি। অমিত শাহর সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বৈঠকে এই ইস্যুতে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেন্দু ১০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নামের তালিকা তুলে দিয়েছেন। এর মধ্যে চারজন বিধায়কের লেটারহেডও রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এই ১০০ জনকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যাতে জিজ্ঞাবাদ করেন, সেই সুপারিশই করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি এই ১০০ তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করতেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ১০০ জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নামের তালিকা তুলে দিয়েছি। এর মধ্যে চারজন বিধায়ক। তাঁদের লেটারহেডে দিয়েছি প্রমাণের জন্য। এঁদের জেরা করার সুপারিশ করেছি। এই ১০০ জনের সকলেই ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।'
আরও পড়ুন- পার্থকে লক্ষ্য করে জুতো! ‘ওঁর টাকে লাগলে খুশি হতাম’- আক্ষেপ মহিলার
এদিকে পার্থর দাবি তাঁর বিরুদ্ধে 'ষড়যন্ত্র' হয়েছে। সময় এলেই বোঝা যাবে কারা এর নেপথ্যে রয়েছে।
অর্পিতা বলেছেন, 'এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে ফ্ল্যাটে টাকা ঢোকান হয়েছে।'
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'আমরাও জানতে চাই কে বা কারা দুর্নীতিতে যুক্ত। আর বিজেপির থেকে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ শুনব না। ওরা দুর্নীতির দাদু।'
নিয়োগ দুর্নী ছাড়াও শুভেন্দু-শাহ বৈঠকে বাংলায় সিএএ কার্যকর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এপ্রসঙ্গে বলেছেন, 'আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি দ্রুত সিএএ কার্যকর করার জন্য। বাংলায় এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। করোনাভাইরাসের জন্য প্রক্রিয়াটি থেমে রয়েছে। এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে। তাই সিএএ লাগু হওয়া দরকার।'