Adhir Chowdhury: তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবসের মেগা সমাবেশের আগের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে অধীরবাবু দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী এখন বিজেপিকে হাতিয়ার করে বাঙালি নির্যাতনের কথা বললেও, এতদিন তিনি কেন নিশ্চুপ ছিলেন, তার জবাব নেই।
অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন, “দেশে-বিদেশে কত বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করছেন, সেই প্রকৃত সংখ্যা কেন দিদি প্রকাশ করছেন না? যে সব রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, সেই রাজ্যগুলিতে নিজে যাচ্ছেন না কেন মুখ্যমন্ত্রী? আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না কেন?”
তিনি আরও বলেন, “বিজেপি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকেই বাঙালি নাগরিকদের নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তা হলে এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ ছিলেন কেন? এখন ভোটের আগে কুমিরের কান্না কাঁদছেন। বাংলায় কাজ নেই, বাংলায় পর্যাপ্ত কাজ থাকলে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের সন্ধানে বাইরের রাজ্যে যেতে হত না। পরিযায়ীদের হয়ে গলা ফাটালেও তাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে কেট আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী, অথচ সেই সরকারই চাকরি চোরেদের আইনি সুরক্ষা দিচ্ছেন।”
অধীরবাবুর দাবি, কোভিড পর্বে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করেনি রাজ্য সরকার। “বাঙালি ইস্যুতে আবেগ না দেখিয়ে প্রকৃত অর্থে কাজের ব্যবস্থা করুন”, মন্তব্য প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির।
প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর "বিদ্বেষমূলক আচরণ"-এর অভিযোগ তুলে ১৬ জুলাই কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে বাংলা ভাষীদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে পুশব্যাক করার অভিযোগ তোলেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২১ জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশ থেকে এই বাঙালি বিদ্বেষের ইস্যুকেই তীব্রভাবে তুলে ধরে বিজেপিকে নিশানা করবেন তৃণমূল নেত্রী।