21 July Martyrs Day: লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে জনসভা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মঞ্চে ছিল বিদেশের আদলে র্যাম্প। লম্বা ব়্যাম্পে প্রার্থীদের সঙ্গে হেঁটেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে এমন দৃশ্য কোনও রাজনৈতিক দলের জনসভায় দেখেনি বাংলা। এবার সেই ব়্যাম্প থাকছে ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে (21 July Martyrs Day)। তিনটে ব়্যাম্প হবে। একইসঙ্গে তিন তিনটে মঞ্চ থাকবে শহিদ দিবসে। ১৯৯৩-এর ২১ জুলাই যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটার পরিচয়পত্রের আন্দোলনে বামফ্রন্ট সরকার গুলি চালিয়েছিল। সেদিন ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।
সোমবার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের (Martyrs Day) খুঁটি পুজো হয়েছে। মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে জোরকদমে। সারা বছরের দলীয় কর্মসূচি এই মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেন দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন নতুন ঘোষণাও করেন তিনি। ২০২৪ লোকসভা ভোট ও ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনের জয় উৎসর্গ করা হবে এই শহিদ দিবসকে সামনে রেখে। এর আগে এই মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন অনেকেই।
এবার শহিদ দিবসে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাজির থাকা নিয়েও জল্পনা চলছে। ১৮ জুলাই থেকে দূরদূরান্তের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় আসতে শুরু করবেন। অন্য বারের মতো এবারও সল্টেলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামসহ শহরের নানা জায়গায় আগত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা থাকছে।
শহিদ দিবসের প্রস্তুতি (Martyrs Day Preparation)
জানা গিয়েছে, শহিদ দিবসে মোট তিনটে মঞ্চ হবে। মূল মঞ্চ হবে ৫২/২৪ ফুট। এই মঞ্চে বসবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও আমন্ত্রিতরা। দ্বিতীয় মঞ্চটির আয়তন ৪৮/২৪ ফুট। সেখানে বসবেন কাউন্সিলররা। তৃতীয় আরেকটি মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। সেই মঞ্চের আয়তন হবে ৪০/২৪ ফুট। শহিদ পরিবারের সদস্যরা এই মঞ্চে থাকবেন। ফি বছর এভাবে মঞ্চ তৈরি করা হয়। এবার নতুন আকর্ষণ হচ্ছে ব়্যাম্প।
এবার মঞ্চে ওঠার জন্য আর সিঁড়ি থাকবে না। মঞ্চে ওঠার জন্য একটি ব়্যাম্প যেমন হবে তেমনই আরও দুটো ব়্যাম্প হবে মঞ্চের দুদিকে। একটি ব়্যাম্প থাকবে সোজাসুজি ডোরিনা ক্রসিং মুখী। আরেকটি ব়্যাম্প থাকছে সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ মুখী। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব়্যাম্প ও মঞ্চের তিনটের উচ্চতা হচ্ছে চলেছে ১০, ১১ ও ১২ ফুট। সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউর দিকেও মঞ্চের পরিধি বাড়ছে। কারণ, সেদিকেও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা ভিড় করে। বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের সামনের দিকে ও সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউয়ের দিকে তৃণমূল সুপ্রিমো যাতে হাঁটতে পারেন, মানুষের কাছাকাছি যেতে পারেন তার জন্য এই নয়া পরিকল্পনা বলে জানা গিয়েছে।