underwater metro in Kolkata: হাওড়া ময়দান থেকে গ্রিন লাইন ২-এর এসপ্ল্যানেড স্ট্রেচ এবং অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রসারিত বাণিজ্যিক মেট্রো পরিষেবা চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। ফি দিন কাতারে কাতারে যাত্রীরা মেট্রোরেলের এই পরিষেবা উপভোগ করছেন।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত মেট্রো রেলে প্রায় ২৪ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এর জেরে মেচ্রোরেলের গ্রিন লাইন-২ এ ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। গ্রিন লাইন ১-এ, সল্টলেক সেক্টর V থেকে শিয়ালদহের মধ্যে এই সময়ে ২০ লক্ষ ৬৯ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
উল্লিখিত সময়ের মধ্যে এক্ষেত্রে মেট্রোর ৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। গ্রিন লাইন ২-এ হাওড়া মেট্রো স্টেশনটি গত ২ মাসে সবচেয়ে ব্যস্ত স্টেশন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। হাওড়া স্টেশন দিয়ে গত ২ মাসে ১১ লক্ষ ৬৭ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যা এই করিডোরের সমস্ত স্টেশনগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ যাত্রী সংখ্যা হিসেবে রেকর্ড করেছে।
আরও পড়ুন- Eastern Railway: যাবতীয় গণ্ডি তুলে দিল পূর্ব রেল! যাত্রী স্বার্থে যুগান্তকারী তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা
অন্যদিকে, ব্লু লাইনে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের মধ্যে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৩ কোটি ৩ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এই সময়ের মধ্যে এই শাখায় মেট্রোরেলের ৪৫ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। অরেঞ্জ লাইনে গত দু'মাসে ৫৫ হাজারেরও বেশি যাত্রী যাত্রা করেছেন। মেট্রোর এই শাখায় উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ১১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা আয় হয়েছে।
আরও পড়ুন- Vande Bharat Express: ভাবতেই পারবেন না! বন্দে ভারতে এমন অকল্পনীয় ‘পাওয়া’য় বাঙালি আহ্লাদে আটখানা হবেই!
যাত্রীরাও সমন্বিত টিকিট সহ এসপ্ল্যানেড এবং কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনগুলিতে করিডোর পরিবর্তন করা সুবিধাজনক বলে মনে করেছেন। মেট্রো কর্মীরা তাঁদের নিজ নিজ মেট্রো খুঁজে পেতে সাহায্য করছেন।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: দুরন্ত উদ্যোগ মেট্রোরেলের! যাত্রীদের সুবিধায় বাম্পার ব্যবস্থা! ফাটাফাটি পদক্ষেপ চর্চায়!
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং শহরতলির বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা তাঁদের সময় বাঁচাতে এই মেট্রো করিডোরে ভ্রমণ করেছেন। পর্যাপ্ত কাউন্টার খোলা হয়েছে এবং গত দুই মাসে যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ও মসৃণ যাত্রার সুবিধার্থে স্মার্ট কার্ড, টোকেন, কাগজ ভিত্তিক QR টিকেটও উপলব্ধ করা হয়েছে।