একই পরিবারের ৩ জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির (Hooghly) গোঘাটে। বৃহস্পতিবার সাতসকালে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তিনটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গোঘাট ২ নম্বর ব্লকের বেঙ্গাই পঞ্চায়েতের শালঝাড় গ্রাম। এই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন কাশীনাথ নন্দী (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী মমতা নন্দী (৪৩) এবং তাঁর মা অনিমা নন্দী (৭০)। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে তিনজনেরই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৮ মাস আগে কাশীনাথ-মমতার ছেলে শান্তনুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তিনি ডাক্তারি পড়ছিলেন। শান্তনুও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বাড়ির ছেলের এমন মৃত্যু মন থেকে মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা ও ঠাকুমা। শান্তনুর মৃত্যুর পর থেকেই গোটা পরিবারটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। চরম অবসাদগ্রস্ত অবস্থায় দিন কাটছিল পরিবারের সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার সকালে নন্দী বাড়ির কেই দরজা-জানলা খোলেননি। এতেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। অনেক ডাকাডাকি করেও তাঁরে কারও সাড়া মেলেনি। তখনই এলাকারই কয়েকজন উঁকি দিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। তাঁরা দেখেন, ওই বাড়ির গোয়ালঘরে কাশীনাথ নন্দী ও তাঁর স্ত্রী মমতা নন্দীর দেহ ঝুলছে। অন্যদিকে, বাড়ির মধ্যেই কাশীনাথবাবুর মা অনিমাদেবীর দেহ পাওয়া যায়। সাতসকালে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোঘাট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- SSC recruitment scam: পড়ুয়াদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত সুপ্রিম কোর্ট, 'যোগ্য'দের চাকরি ফিরছে? বিরাট সিদ্ধান্ত আদালতের!
মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, এদিন সকালেই কাশীনাথ ও মমতার একমাত্র বিবাহিত কন্যা মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়েই বাপের বাড়িতে চলে এসেছেন পাশের গ্রাম থেকে। গোটা ঘটনায় তিনি কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এলাকাতেও এমন কাণ্ডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে সম্ভবত তিনজনই আত্মঘাতী হয়েছেন।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: 'বেছে বেছে হিন্দু এলাকায় আক্রমণ, উগ্রপন্থীদের রাস্তায় নামিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী', তুলোধনা দিলীপের