3 miscreants arrested with firearms in Rajnagar, Birbhum: বীরভূমের রাজনগরে সাংঘাতিক কাণ্ড। আড়ালি গ্রামের জঙ্গল ঘেরা রাস্তায় সোমবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে যাচ্ছিল। রাস্তায় টহলদারি পুলিশকে দেখেই গুলি চালায় তারা। এএসআই মদন সরকার দুষ্কৃতীদের গুলির তোয়াক্কা না করেই কিছু সময়ের জন্য তাদের রুখে দেন। খবর দেন ওই থানার ওসিকে।
সেই সময়ে কাছাকাছিই টহলদারিতে ছিলেন রাজনগর থানার ওসি ঝুমুর সিনহা। তিনি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন এবং দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলেন। পরে গ্রেফতার করা হয় তাদের। তল্লাশিতে ধৃতদের কাছে মেলে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ। ধৃতরা বাইকে চেপে কোডিন মিশ্রিত তরল ড্রাগ পাচার করছিল। তাদের কাছে পাওয়া যায় সাড়ে আট লিটার কোডিং মিশ্রিত তরল। দুষ্কৃতীদের ৩ জনের একজন শেখ জিয়ারুল (২৮) কাঁকড়তলার বাসিন্দা। বাকি দু'জন শেখ মর্তুজা(২৬) ও শেখ ঈশামিল(২৮) কাঁকড়তলারই হরিএকতলা গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার ধৃতদের নিষিদ্ধ ড্রাগ পাচার ও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র রাখা এবং কর্তব্যরত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার অভিযোগে মামলা রুজু করে সিউড়ির বিশেষ আদালতে তোলা হয়। পাচারে ব্যবহৃত বাইক আটক করে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বিচারক ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ করে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে আরও কাদের কাদের যোগ ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: কোনও রুটে চলবেই না মেট্রো, কোথাও আধঘণ্টা অন্তর ট্রেন, কবে? মেট্রোযাত্রীদের জন্য বড় খবর!
কাঁকড়তলা থানা এলাকার বেশ কিছু গ্রামে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এর নেপথ্যে পুলিশের একাংশকেও দায়ী করেন কেউ কেউ। খয়রাশোলের ভীমগড়-পলাশথলি রেললাইন কেটে নিয়ে পাচারে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে খোদ পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ, গঙ্গারামচক-ভাদুলিয়া কয়লা খনি থেকে প্রতিদিনই লরি লরি কয়লা চুরি হয়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে মজুত হয়ে রাতের অন্ধকারে পুলিশের মদতেই তা পাচার হচ্ছে। পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয়েরও অভিযোগ উঠেছে।