Jayanta Naskar: প্রয়াত গোসাবার তিনবারের তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। কোভিড পরবর্তী সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জয়ন্তবাবু। শনিবার রাতে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে রাজনৈতিক মহলে। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত মাসে কোভিডে আক্রান্ত হন বিধায়ক। প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ১১ দিন সেখানে চিকিৎসার পর মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি তাঁর। জানা গিয়েছে, ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের সমস্যা ছিল তাঁর।
আরও পড়ুন কালিয়াচকে নারকীয় হত্যালীলার নেপথ্যে কি মমি তৈরির গবেষণা?
করোনার জেরে ফুসফুসেও সংক্রমণ হয় তাঁর। প্রথমে তাঁকে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কোভিডমুক্ত হলেও শারীরিক কারণে তিনি হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। শনিবার ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউ-তে রাখা হয় তাঁকে। কিন্তু রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দীর্ঘদিনের সৈনিকের মৃত্যুতে টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখেছেন, জয়ন্ত নস্করের পরিবার ও সমর্থকদের প্রতি সমবেদনা রইল। এই বিরাট ক্ষতিতে শোকাহত। তিন বারের বিধায়ক হিসাবে সারা জীবন তিনি সাধারণ মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। বহু লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে ছিলেন তিনি। তাঁর আমরা মনে রাখব।
আরও পড়ুন পানীয়ে মাদক মিশিয়ে খুন, ঘরেই সুড়ঙ্গ, কালিয়াচক খুনে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রথম জীবনে কংগ্রেসি এই নেতা তৃণমূলের জন্মলগ্নে যোগদান করেন। সুন্দরবনের গোসাবা কেন্দ্র থেকে তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার ভোটে জিতেও অসুস্থতার কারণে শপথ গ্রহণ করতে পারেননি। উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে নিজের তিনটি ফাইবারের মূর্তি গড়িয়েছিলেন জয়ন্তবাবু। যা নজিরবিহীন ছিল এক কথায়। সেই মূর্তি রয়ে গেল, চলে গেলেন জয়ন্ত নস্কর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন