২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। ৪৭৮ টি শূন্যপদের মধ্যে ৪৭৪টি পদের নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামিকাল থেকেই মিলবে চাকরির নিয়োগপত্র। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ৪৭৪ জনের মেধাতালিকা। আরও ৭৩৮টি পদে নিয়োগ অতি দ্রুত করা হবে বলেও পর্যদ সূত্রে খবর।
নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিদ্যালয় সংসদ ভবনের সামনে গত অক্টোবরেই আমরণ অনশনে বসেছিলেন। আন্দোলনকারীরা ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করা সত্ত্বেও কেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে না তা জানতে চান আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা ছিল যে, নিয়োগের সময় বয়স পেরিয়ে গেলে আর চাকরি জুটবে না। অবশ্য এদিন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি মিলল। ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের একটি তালিকা তৈরি করে ডেকে পাঠায় পর্ষদ। এই চাকরি প্রার্থীদের সকলেই অফলাইনে আবেদন জমা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: CBI অনুসন্ধানের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে যে সব চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, সেই উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত নথি যাচাইয়ের জন্য সময় দেওয়া হয়। যদি অনলাইনে অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে ওই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি নথি জমা করতে পারবেন বলেও জানানো হয়। অনেকেই অফলাইনে তা জমা দেন।
২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাঁদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আদালতের ভর্ত্সনার মুখেও পড়েন। এরপরই নিয়োগপর্ব নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে পর্ষদ। অবশেষে বুধবার চূড়ান্ত নিয়োগতালিকা প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন